বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
17 Jan 2025 02:06 am
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম :-"মার্চ ফর ফেলানী" কর্মসুচীতে যোগ দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয় সারজিস আলম বলেছেন, আর যদি আমার কোন ভাই বা আমার কোন বোন আমাদের ওই সীমান্তে আমাদের তাঁরকাটায় লাশ ঝুলে থাকে তাহলে কাঁটাতারকে লক্ষ্য করে আজকের মার্চ ফর ফেলানীর মত লং মার্চ করা হবে। আর যদি পরবর্তীতে আমাদের সেই মার্চ তাঁরকাটাকে উদ্দিশ্য করে হয় তাহলে আমাদের লক্ষ তাঁরকাটাকে ভেদ করে যতদুর দৃষ্টি যায় ততদুর যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশকে একটি কথাই বলতে চাই, এই যে সীমান্ত হত্যা, তাঁরকাটা দেয়ার নামে জোড় করে বাধা দেয়ার জন্য যে প্রয়াস তা রুখে দেয়ার জন্য নতুন করে যে অভ্যুথান হয়েছে এই অভ্যুথানের স্পুলিং সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী থেকে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোন লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে সেই চাত্র জনতা নতজানু পর রাষ্ট্র নীতি মেনে নিবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা যদি ক্ষমতা আকড়ে ধরার জন্য কোন দেশের দালাল হোন তাহলে তাদের পরিনতি খুনি হাসিনার মতো হবে। লং মার্চের শুরুতে ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সকল নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নাম করণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ ও কুড়িগ্রামের চরের জীবনজীবিক উন্নয়নে নদী সংস্কারের ৫ দফা দাবি জানান সারজিস আলম।
লং মার্চটি সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রামের জেলা শহরের কলেজ মোড় থেকে শুরু হয়। লং মার্চ শেষ হবে কুড়িগ্রামের নাগশ্বরী উপজেলা রামখানা ইউনিযনের নাখারগন্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে। লং মার্চে আরও উপস্থিত রয়েছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসির উদ্দিন টাটোয়ারী, সদস্য সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়াও লং মার্চে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। লং মার্চ শেষে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগন্জ বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।।