সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
13 Jan 2025 11:41 am
আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধি:- নওগাঁর রাণীনগরে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক সৌদি প্রবাসীকে মারধর করে বেঁধে রেখে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে ইউনিয়ন যুবদলের নেতাসহ ৯জনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রবাসী আলমগীরের বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আহত আলমগীর বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আলমগীর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের বিশঘড়িয়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।
আলমগীরের বাবা মোজাহার আলী বলেন,ছেলে আলমগীর সৌদি আরবে থাকেন। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ীতে আসেন তিনি। এর পর থেকে আলমগীরের শ্যালক উপজেলার নিলাম্বরপুর গ্রামের শাজাহান আলীসহ বেশ কয়েকজন প্রায় ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল ছেলের নিকট থেকে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে একডালা ইউনিয়ন যুবদলের আহŸায়ক চকারপুকুর গ্রামের ছোলাইমান আলীর ছেলে ইমরান হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গত ৯জানুয়ারী দুপুরে আমার বাড়ীতে যায়।এর পর ছেলে আলমগীরকে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে এলাকার করজগ্রাম শ্মশান ঘাটে রেখে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ে মারধর করতে থাকে।
এসময় আমার ছেলে বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাদেরকে জানালে আমরা দুই লক্ষ টাকা নিয়ে তাদেরকে দিয়ে ছেলেকে ছেরে নিয়ে আসি এবং সে সময় ৪টি নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় তারা।এর পর মারধরে অসুস্থ্য হয়ে পরলে ছেলেকে প্রথমে রাণীনগর এবং পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে এমরান হোসেন ও ছেলে আলমগীরের শ্যালক শাজাহানসহ ৫জনকে এজাহারনামীয় এবং আরো৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
চাঁদাবাজী ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে একডালা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহŸায়ক এমরান হোসেন বলেন,আলমগীর হোসেন ও তার শ্যালক শাজাহান সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় শাজাহানের প্রায় ৩২লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে আসে আলমগীর। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে ২৮লক্ষ টাকায় শ্যালক-ভগ্নিপতির মধ্যে আপোষ করে দিয়েছি। সে সময় নগদ দুই লক্ষ টাকা শাজাহানকে দিয়েছে আলমগীর এবং বাঁকী টাকা আগামী ১৫দিনের মধ্যে দেয়ার কথা রয়েছে। এখানে চাঁদাবাজীর কোন ঘটনা নেই। তারা মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা করেছে।
আলমগীরের শ্যালক শাজাহান বলেন,সৌদিতে একসাথে ব্যবসা করার সময় আমার ভগ্নিপতি আলমগীর একলক্ষ রিয়াল (যা বাংলাদেশে ৩২লক্ষ টাকা) নিয়ে চলে আসে। এঘটনায় গত ১০অক্টোবর আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি। এই লেনদেনের বিষয়ে ৯জানুয়ারী বসে ২৮লক্ষ টাকায় আপোষ করা হয়েছে এবং ওই সময়ে নগদ দুই লক্ষটাকা আমাকে দিয়েছে আলমগীর। এখানে চাঁদাবাজীর কোন ঘটনা নেই।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন,মারধর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আলমগীরের বাবা মোজাহার আলী বাদী হয়ে শনিবার রাতে এজাহারনামীয় ৫জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।