শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২৫
05 Jan 2025 09:24 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- শীতের মধ্যে রাসুল (সা.) বেশি আমল করতে উৎসাহ দিয়েছেন।নিম্নে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আমলের কথা উল্লেখ করা হলো-
১. বেশি বেশি নফল রোজা রাখা
শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। শীতকালে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় না। তাই এই ঋতুতে সম্ভব হলে বেশি বেশি রোজা রাখবে।
আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।(তিরমিজি : ৭৯৫)
২. শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বছর ঘুরে আসে শীত-শৈত্যপ্রবাহ। হাড়-কাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়ে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতার্তসহ বিপন্ন সব মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের আদর্শ।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনকে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। আর কিছুতেই অপব্যয় করো না।’ (সুরা : বানি ইসরাঈল, আয়াত : ২৬)
৩. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়
শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। কেউ চাইলে পূর্ণরূপে ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে সক্ষম হতে পারে।
মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে।তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা : সাজদাহ, আয়াত : ১৬)
৪. অজু ও গোসলের ব্যাপারে সচেতন হওয়া
শীতকালে মানুষের শরীর শুষ্ক থাকে।তাই যথাযথভাবে ধৌত না করলে অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় হয় না। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, অজু করার সময় পায়ের গোড়ালি যেসব স্থানে পানি পৌঁছেনি সেগুলোর জন্য জাহান্নাম।
তাই তোমরা ভালোভাবে অজু করো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৫৮)
৫. মোজার ওপর মাসেহ করা
এ ক্ষেত্রে নিয়ম হলো, অজু করে মোজা পরিধান করবে। মুকিম ব্যক্তির জন্য পরবর্তী এক দিন পর্যন্ত যতবার অজুর প্রয়োজন, তাতে পা ধোয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং তিন আঙুল পরিমাণ মোজার ওপর মাসেহ করে নিলেই চলবে। মুসাফিরের জন্য এ সুযোগ তিন দিন পর্যন্ত। অসংখ্য হাদিস শরিফে রাসুল (সা.)-এর অনুরূপ আমলের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৬০)।
তবে এখানে একটি ভুল ধারণার নিরসন প্রয়োজন।অনেকেই মনে করেন, সব মোজার ওপরই মাসেহ করা যায়, যেমন—সুতি, নাইলনের মোজা ইত্যাদির ওপর মাসেহ বৈধ নয়; বরং মোজার ওপর মাসেহ করার জন্য এটি এমন চামড়ার মোজা হতে হবে, যা টাখনু পর্যন্ত ঢেকে ফেলে অথবা চামড়ার মোজার গুণে গুণান্বিত—এমন মোজা হতে হবে। আর মোজার ওপর মাসেহ করা জরুরি নয়, বরং এটি বৈধ ও অবকাশমূলক বিষয়।
কালের কণ্ঠ