মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
27 Dec 2024 12:22 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন গাইবান্ধার মিলন ভট্টাচার্য নামের এক হিন্দু নেতা।শফিকুর রহমান এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শুরু হওয়া জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।এই কর্মী সম্মেলনে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।তবে,এ দিন সম্মেলনের প্রধান অতিথি মঞ্চে আসন গ্রহণের পূর্বে অতিথিদের বক্তব্যের সময় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ সব কথা বলেন তিনি।
জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার পূজা মন্ডপের পুরোহিত এই মিলন ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে আরও বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার হিন্দুদের ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছেন।এদেশের ইতিহাসে কোনো দল হিন্দুদের মন্দির,বাড়ি ঘর পাহারা দেয়নি।কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আমাদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছেন।৫ আগস্টের আগে আমাদের ধর্মীয় উৎসবে পুলিশের পাহারার প্রয়োজন ছিলো।পুলিশি পাহারায় আমাদের ধর্মীয় উৎসব করতে হয়েছে।কিন্তু এই বছর আমাদের উৎসবে নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশের প্রয়োজন হয়নাই। আমরা নিরাপদে উৎসব করেছি।
তিনি বলেন ডাঃ শফিকুর রহমান (জামায়াত) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে এদেশের সকল ধর্মের মানুৃষ নিরাপদ থাকবে।এসময় তার বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ও উপস্থিত জনতারা হাত তুলে ইসলাসী স্লোগান দিতে থাকেন।পরে ইসকন নেতার কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনাও করেন এই হিন্দু নেতা।
প্রায় দীর্ঘ দেড়যুগ পর প্রকাশ্যে এতো বড় কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করছে গাইবান্ধা জেলা জামায়াত।২০০২ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা শহীদ দেলওয়ার হোসেন সাঈদী এই মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন।এরপর এই মাঠে আর কোন প্রকাশ্য সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত।ফলে এবারের সমাবেশকে ঘিরে সারা জেলায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ডা: শফিকুর রহমান।তাঁকে একনজর দেখার জন্য সবার মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে আজকের সমাবেশে।আজ জেলাজামায়াতের কর্মী সম্মেলনে জেলার সাত উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা উপস্থিত হয়েছেন।