শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
17 Nov 2024 04:24 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে। বাড়ির ভাড়াটিয়াকে অনৈতিক কাজে বাধা এবং তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সীমা বেধে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নারী ভাড়াটিয়া মাবিয়া এই হত্যাকান্ডের ‘মাস্টার মাইন্ড’।ওই নারীসহ তিনজন এই হত্যাকান্ডে জড়িত।
আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ভোররাতে জেলা ডিবি ও দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের যৌথ টিম এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলা সদরের উত্তরসাজাপুর গ্রামের আয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া (৫০), উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ পশ্চিমপাড়া থেকে আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম (২৮)কে ও তালুচ বাজার এলাকার নারায়ন চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন (৩০)।
এর মধ্যে আসামি মোসলেম আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক তার দেয়া জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকান্ডের শিকার দুপচাঁচিয়া ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এসএম আজিজুর রহমানের স্ত্রী গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনের খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইল ফোনের কল লিস্ট যাচাই-বাছাই করা হয়।
এরপর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে হত্যার শিকার উম্মে সালমার বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া আয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ পশ্চিমপাড়া থেকে আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলিম (২৮) ও তালুচ বাজারের নারায়ন চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন (৩০)কে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার কয়েক দিন আগে হত্যাকান্ডের শিকার গৃহবধূ উম্মে সালমা ভাড়াটিয়া মাবিয়াকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার কারণে বার বার বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।কিন্তু সে বাড়ি না ছেড়ে দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এরপর তাকে জোরপূর্বক বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। জোড়পূর্বক বাড়ি ছেড়ে দেয়ার কথা বলায় মাবিয়ার মধ্যে ক্ষোভ জন্মে।
এই ক্ষোভ থেকে মাবিয়া উম্মে সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন সকালে উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের তালুচ পশ্চিমপাড়া থেকে আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলিম (২৮)কে ও তালুচ বাজারের নারায়ন চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন (৩০) কে তার ফ্লাটে নিয়ে আসে মাবিয়া।এরপর দুপুর ১টার দিকে মাবিয়া গৃহবধু উম্মে সালমাকে ডাক দিয়ে তার বাসায় ঢুকে গল্প করা শুরু করে।