শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
16 Nov 2024 11:57 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বগুড়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং রাজ-১২৬৬ এর অনিয়ম-দুর্নীতি, শ্রমিক নির্যাতন, অবৈধ শ্রমিক ভর্তি ও আগামী পাতানো নির্বাচনের অপতৎপরতা বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।শ্রমিক নেতা জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম খোকনের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এর নিকট এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক সদস্য শাহজাহান, শরিফুল ইসলাম, তাজমিলুর রহমান সেলিম, মামুন, আবু সোবহান, শামীম রেজা, শহীদুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল হান্নান, কাজল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিফাত, ইমন, রাজু, হিরা, সৌরভ, শীষ, ওয়ালিদ ও রুমনসহ প্রমুখ।
স্বারকলিপিতে ৫দফা দাবি উল্লেখ করা হয়। দাবিগুলো হলো-পূর্বের কমিটি ও বর্তমান কমিটির আয় ব্যায়ের হিসাব পর্যালোচনার জন্য বর্তমান কমিটি স্থগিত করে ইউনিয়ন অফিস জেলা প্রশাসনের অধিনের নিতে হবে, ভূয়া শ্রমিক বাদ দিয়ে স্বাচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং শ্রমিক ভর্তি বন্ধ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হিসাবে কোন আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট ও তাদের দোসরদের রাখা যাবে না, শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক ও গণমাধ্যম কর্মী দ্বারা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে, বগুড়া বার সমিতির ন্যায়, বগুড়া জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট, তাদের দোসর এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিগত ১৫ বছর যাবৎ নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা প্রভাব ঘাটিয়ে অন্যায়ভাবে কমিটিতে থেকে শতকোটিরও বেশি টাকা দুর্নীতি করেছে। তারা সাধারণ সভা ডেকে প্রথমে ৮৭ লাখ টাকা তালা ক্রয় বাবদ ভাউচার উত্থাপন করা মাত্র শ্রমিকদের জোড়ালো প্রতিবাদে হিসাব দাখিল বন্ধ করে দেয়।পরবর্তী নির্বাচিত নেতা উক্ত হিসাবের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে পরিস্থিতি শান্ত করে।এরপর পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আব্দুল হামিদ মিটুল ও কবির আহম্মেদ মিঠুকে বিজয়ী দেখানো হয়।অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে তারা পূর্বের শতকোটি টাকার দুর্ণীতির অডিট রিপোর্ট মটর শ্রমিক সদস্যদের মাঝে প্রকাশ না করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়।
এছাড়া গত ৭ অক্টোবর তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সভায় মেয়াদ পার করে গোজামিলের সাধারণ সভার মাধ্যমে হিসাব দাখিল করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা ও পাতানো নির্বাচনের কমিশন গঠনে পায়তারা করেছে।বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করলেই তারা শ্রমিকদের শারিরীক নির্যাতন করে পরিবহনের চাঁদাবাজী অব্যাহত রেখেছে।
এমতাবস্থায় উক্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে জেলা প্রশাসক বগুড়া কে রিসিভার নিয়োগ করে হিসাব গ্রহন, ও ভূয়া শ্রমিক কে বাদ নিয়ে ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং নির্ভরযোগ্য নির্বাচন কশিন গঠন করে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের আয়োজন করার জোর দাবি জানান শ্রমিক সদস্যরা।