বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
15 Nov 2024 03:55 am
শাহ্ আলী বাচ্চু স্টাফ রিপোর্টার জামালপুর:- জামালপুর সদর উপজেলা ইটাইল ইউনিয়নের বকুলতলা বাজারে এক চালকলে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৩৯৬ বস্তুা চাল জব্দ করেছে জামালপুর র্যাব ১৪৷
র্যাব ১৪ একটা মিডিয়া অফিসারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দমদমা বকুলতলা বাজারের একটি চালমিল থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৩৯৮টি বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় মঙ্গলবার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামসুন্নাহার বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় জামালপুর র্যাবের অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার আব্দুল হাই চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে জেলার সদর উপজেলার খরখরিয়া এলাকার মোস্তাফিদুল ইসলাম লিংকন (৪৫) এবং তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ চাল সরকারি লোগো সংবলিত বস্তা থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় লোড করছিল। সংবাদ পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় র্যাব। সেখানে খাদ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান সরাসরি অভিযুক্ত মোস্তাফিদুল ইসলাম লিংকনের পক্ষপাতিত্ব করেন এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কিছু টাকা জরিমানা করে চালগুলো ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই চাল সরকারের নয় বলে দাবি করলে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের নানা প্রশ্নের তোপের মুখে পড়েন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা।পরে রাত ১০টায় জামালপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিহাবুল আরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিংকনের রাইস মিলের ভেতর থেকে সরকারি বরাদ্দের ৩০ কেজি চটের খালি ৩৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করেন।উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চালগুলো সরকারি বলে শনাক্ত করেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টায় র্যাব জামালপুর সদর থানায় চালগুলো হস্তান্তর করে।চাল জব্দ করা হলেও পালিয়ে গেছে কালোবাজারি লিংকন ও তার সহযোগীরা।
নাম না বলার শর্তে রাইসমিলের একজন শ্রমিক বলেন,আমাদের কাজ গাড়িতে মাল উঠানো নামানো।৩০ কেজি বস্তায় চাল আসার পরে আমরা সেটা খুলে নতুন আরেকটি বস্তায় তুলি ।’
এদিকে স্থানীয় অনেকেই বলেন,এই রাইসমিল দীর্ঘদিন দিন থেকেই সরকারি বস্তাসহ চাল আসে।পরে তারা সেগুলো বস্তা পরিবর্তন করা হয়।সরকারি বস্তা এখানে কীভাবে আসে এবং এই কাজে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হলে অনেকেই আইনের আওতায় আসবে৷একটি রাইসমিলে এত বস্তা চাল উদ্ধার হলেও জেলা খাদ্য কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক।আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় স্থানীয়রা মরদেহ৷’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিন্নাত শামছুন্নাহার জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলে কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি জামালপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান।
এদিকে, জামালপুর র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার আব্দুল হাই চৌধুরী জানান,পলাতক আসামি মোস্তাফিদুল ইসলাম লিংকনসহ আরও ৫-৬ জনকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।