মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
14 Nov 2024 12:14 am
আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধি:- নওগাঁ সদর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মো. রফিক (৩৭) অবশেষে র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে। বগুড়া জেলার আদমদীঘি থানার ঢাকা রোডের পূর্বমাথা এলাকা থেকে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১২-এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। রফিকের পিতা মো. আব্দুস ছাত্তার ওরফে ছাতু মেম্বার, আর তার বাড়ি নওগাঁ সদর থানার সাহাপুর মাস্টারপাড়া এলাকায়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানানো হয়। র্যাব জানায়, গত ১০ নভেম্বর, বেলা ৩টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার আদমদীঘি থানার ঢাকা রোড পূর্বমাথায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি রফিককে গ্রেফতার করা হয়। নওগাঁ সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা নং ০৪, তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২৪, ধারা ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৪/১০৯ মোতাবেক রফিকের নাম উল্লেখ ছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার রাতে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড় নামক এলাকায় আব্দুল মজিদ ও তার দুই ভাই কাবিল হোসেন (৩০) এবং শফিকুল ইসলাম (৪৮)-এর ওপর এক ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সাথে জমি দখল নিয়ে বিরোধের কারণে আব্দুল মজিদের ওপর এই আক্রমণ হয়। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আব্দুল মজিদ একটি বিতর্কিত জমি প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় সন্ত্রাসী দল।
এদিন রাতে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকার ইয়াদ আলীর মোড়ে রফিকসহ মোহাম্মদ আলী ও মিলন মোটরসাইকেলে এসে উপস্থিত হয়। রফিকের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী আব্দুল মজিদকে দেখামাত্রই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে এবং রফিকসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুল মজিদ ও তার ভাইদের উপর আক্রমণ চালায়। হামলার সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে সুবিদ আলী নামের স্থানীয় একজনকেও কোপানো হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরবর্তীতে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভিকটিমদের ভাই বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের পর আসামি রফিককে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, যাতে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়।