বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
14 Nov 2024 09:00 pm
পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি:-মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী ছাত্রলীগ নেতা গাজীউর রহমান কম্পন (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার ভোররাতে পীরগঞ্জ উপজেলার ড. ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতা ছয়তলা ভবন থেকে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে আহত হয়।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার লক্ষ্যে আলোচনা চলছিল।ওই সময় সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের নির্দেশে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের লোকজন বিএনপির অফিসে দেশীয় অস্ত্র, শস্ত্র নিয়ে হামলা করে ভাংচুর এবং ফাকা ফায়ার করে।
এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের এ্যাডভোকেট মো: মুরাদ হোসেন (৪০) বাদী হয়ে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে প্রধান আসামী করে ৯১ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মানিকগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা নং ২৬।ওই মামলার ১৮ নং আসামি গাজিউর রহমান কম্পন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক যুগ্ম সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর সেওত গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে।
ওই ছাত্রলীগ নেতা বেশকিছু দিন ধরে পীরগঞ্জের ড. ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শহীদ আবু সাঈদ হলে আত্মগোপনে আছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ তার অবস্থান জেনে পীরগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক কে সাথে নিয়ে বুধবার ভোররাত পৌনে ৫ টায় অভিযানে যান।
এ সময় আসামি কম্পন ৬ তলা ভবন থেকে পালাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হয়।পরে ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত কম্পন কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ওসি এমএ ফারুক বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর মামলার আসামী কম্পনকে ছাত্র-জনতা ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী কম্পন ৬ তলা ভবনের রেলিং ধরে ঝুলছিল। বেশিক্ষণ ঝুলে থাকায় সে মাটিতে পড়ে গেলে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর