মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪
09 Nov 2024 08:45 am
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ- ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পোষক শ্রমিক চম্পার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সোমবার সাকলে নিহত চম্পা খাতুন (২৫) এর বাবার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছী ইউপি’র আমোদপুর গ্রামে দাফন করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম নিহত চম্পার বাড়িতে যান।সেখানে তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের জন্য নগদ অর্থ সহায়তাসহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন,পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক, ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া। জানা গেছে, গত বুধবার বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামে আশুলিয়ার জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা।সেই আন্দোলনে তিনিও যোগ দেন।এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত চম্পার বাবার বাড়ি আমোদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দরিদ্র চান্দু মিয়ার ৬ ছেলে-মেয়ের মধ্যে তৃতীয়। বছর চারেক আগে প¦ার্শবর্তী উপজেলা মিঠপুকুরের ইমাদপুর মধ্য পাড়া গ্রামে বিটুল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তার স্বামী আশুলিয়ায় মিশুক গাড়ি চালান বলে জানান এলাকাবাসী।
চম্পার ফুফা মুকুল মিয়া জানান, ‘হাতে ও পাঁজরে গুলি নাগার (লাগার) জন্য চম্পাকে বাঁচানো যায় নাই। অভিযোগ করেন বলেন, ভাল চিকিৎসার অভাবে মেয়েটা মরি গেল। ডাক্তার যদি ভালো করি চিকিৎসা দিলো হয় তাহলে চম্পা অকালে জীবন গেলনা হয়। ফুফু তুলা মাই বিলাপ করতে করতে বলেন, মাও মরা মাইয়াটা পেটের দায়ে ঢাকায় যায়া আজ জীবন দিল। চম্পার দেড় বছরের একটা মাইয়া আছে। অকালে মাইয়াটা এতিম হলো।’
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর