শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
14 Nov 2024 09:00 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:-মুজাম্মেল মিয়াজী, মুখপাত্র,বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ দীর্ঘ ১২ বছর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ সহ ৪ দফা নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময় এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে ৩৫ আন্দোলনকারীরা।এক পর্যায়ে শেখে হাসিনা ৩২ করে দিয়ে এই আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ তাহা তখনই প্রত্যাখ্যান করেছিল।এই সরকারও সেই পথে হেঁটেছে।বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং গভীর চিন্তার বিষয়।
বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি পেয়েছে।
★ যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা করা হয়েছিল ২৭।
★ যখন গড় আয়ু ছিল ৬০ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা করা হয়েছিল ৩০।
★ বর্তমান গড় আয়ু ৭২+ সেইখানে আবেদনের বয়সসীমা করা দরকার ছিল ৪০+।
আমরা চেয়েছিলাম মাত্র ন্যূনতম ৩৫।তারপরেও এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।যাহা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ।
★ বিশ্বের ইউরোপ আমরিকা সহ ১৫৭ টি দেশে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫,৪০,৪৫,৫৫,৫৯ এবং অনেক দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা-ই নেই। মানে উন্মুক্ত।
তাই উন্নত রাষ্ট্রের দিক যেতে হবে অবশ্যই আবেদনের বয়সসীমা ৩৫/৪০/৫০ কিংবা উন্মুক্ত করে দেওয়া ।
★ অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে গিয়ে যখন দেশে এসে রাষ্ট্রের সেবা দিতে চায় তখন দেখে তার বয়স হয়ে যায় ৩২/৩৩ কিন্তু বাংলাদেশেতো এই বয়সের পর আবেদনই করা যাবেনা । তাই তারা বিদেশে থেকে যায়।আর রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় মেধাবীদের সেবা থেকে।তাই মেধাবীদের পক্ষ হতে দেশ সেবা নিতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করা জরুরী ।
★ ২০০৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত সেশনজটে অনেকেই ৭/৬/৫ বছর আবেদনের বয়সসীমা হারিয়েছিল।এর দায়ভার কার ? অবশ্যই রাষ্ট্রের ।তাই রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের উচিত সঠিক জাস্টিস করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা নূন্যতম ৩৫ করা ।
যেইখানে শেখ হাসিনার আমলেই আমরা ৩২ কে প্রত্যাখ্যাণ করেছিলান সেইখানে ৩ বছর পর আমরা এখন ৩২ মেনে নিব এটা কি করে সম্ভব।এটা সম্ভব নয় ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।এই আন্দোলনের আমি মুজাম্মেল মিয়াজী একজন কেন্দ্রীয় সংগঠক । শেখ হাসিনার পতনে ৩৫ আন্দোলনের অনেক প্রত্যাশীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিল এবং শেখ হাসিনারও পতন হয়েছে।এই সরকার জনগনের বিপ্লবী সরকার।তাই ছাত্র জনতার যে কোন যৌক্তিক দাবি সরকারকেই মেনে নিতেই হবে।
দীর্ঘ দিনে ৩৫ আন্দোলনে শেখ হাসিনার মত এই সরকার ৩২ দিয়ে থামিয়ে দিবে যাহা একবারি সম্ভব নয় ।
মেধাবীদের রক্ষা করতে হলে বয়সের শীকল ভেঙে দিতে হবে।আর এইজন্যই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ সহ শর্ত সাপেক্ষ্যে উন্মুক্ত করতে হবে ।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ ৩২ এর অধ্যাদেশকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং দ্রুত ন্যূনতম ৩৫ দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে
আর নতুবা কিছুতেই এই যৌক্তিক আন্দোলন থামানো সম্ভয় ।
বার্তা প্রেরক,সুরাইয়া ইয়াসমিন,প্রধান সমন্বয়ক,বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ