মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪
19 Jan 2025 01:09 am
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
দলীয় নীতি ও আদর্শপরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১০নং শাহ্বন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (মেম্বার) জাহিদুল ইসলাম কে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু কর্তৃক বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলার ১০৭ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলাম কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক শেরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একদল পুলিশ আটক করতে যান। এ সময় জাহিদুল ইসলাম সহ পরিবারের পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা বাধা প্রদান করে। এসময় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম এর নিকট সহযোগিতা চাইলে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাড়ি তল্লাশি করে সিরাজুল ইসলাম কে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসার সময় জাহিদুল ইসলাম সকল সদস্য আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পেছন দড়জা দিয়ে পালাতে সহায়তা করে। এ ঘঠনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির নের্তৃবৃন্দকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা জাহিদূল ইসলাম বলেন, আমি একজন জন-প্রতিনিধি। সন্ধায় আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় পুলিশ এসেছে। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মামা সিরাজুল ইসলাম কে আটক করতে যায় পুলিশ। এ সময় আমি পুলিশকে জানায় তিনি নির্দোশ। হামলার সাথে তিনি যুক্ত নয়। এ সময় উপস্থিত পরিবারের মহিলা সহ বেশ কয়েকজন সদস্য সিরাজুল ইসলাম কে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ কারণেই হয়তো বহিষ্কার করা হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে জাহিদুল ইসলাম দড়িমুক্ত গামে বাড়ি ভাঙ্গচুর সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমানিত রয়েছে এছাড়াও অদ্যই ৮ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম বিএনপির করা মামলার আসামী সিরাজুল ইসলাম কে পুলিশ আটক করতে গেলে বাধা প্রদান করে পালাতে সহায়তা করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামী সিরাজুল ইসলাম কে হেফাজতে নেয়ার আগেই কথাবার্তার এক পর্যায়ে জাহিদুল ইসলাম আসামীকে পালাতে সহায়তা করে।