শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪
05 Oct 2024 04:30 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যুনতম ৩৫ সহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষ্যে উন্মুক্ত করে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ।
ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাথে ছাত্রলীগের ও ৩৫ সমন্বয় পরিষদের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই । কারন আমরা অহিংস এবং শান্তি প্রিয় আন্দোলনে বিশ্বাসী ।
আপনারা জানেন যে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আন্দোলন চলছে।কথা দিয়েও যৌক্তিক এই আন্দোলন মেনে না নিয়ে বিগত স্বৈরাচার ও অবৈধ সরকার প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্র যুব সমাজের সাথে প্রতারণা করেছে।অবশেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।আপনারা জানে যে আমি নিজেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একজন কেন্দ্রীয় সংগঠক । বর্তমাব সরকার বিপ্লবী সরকার (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার।একটি গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে । তার মানে এই সরকার জনগণের সরকার । তাই এই সরকার থেকে আমরা দীর্ঘ দিন ঝুলিয়ে থাকা ৩৫ আন্দোলনের সফলতা কামনা করে দ্রুতই প্রজ্ঞাপন চাচ্ছি।যাহা এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব বলে আমরা মনে করি ।
★ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে যৌক্তিকতা -
★ বিশ্বের উন্বয়নশীল এবং উন্নত ১৬২ টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫/৪০/৪৫/৫৯ এবং অনেকে দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা-ই নেই । মানে উন্মুক্ত । তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা অবশ্যক বলে আমরা মনে করি ।
★ বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি পেয়েছে । যেমন যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ছিল ২৭ । যখন গড় আয়ু ছিল ৬০ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা হয়েছে ৩০ । বর্তমান গড় আয়ু ৭২+ সেই হিসাবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা হওয়া দরকার ৪০ কিন্তু আমরা ন্যূনতম ৩৫ চেয়েছি ।
★ বর্তমানে সেশনজট সামান্য কমলেও বিগত দিনে এর পরিমান ছিল ভয়াবহ । সেশনজটের কারনে যাদের জীবন থেকে ৬-৭ বছর হারিয়ে গেছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ কি হবে ? তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৫ বছর বাড়ানো জরুরী ।
★ পিএইচডি করতে গিয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী দেশে ফিরে আসেন কারন তখন তাঁর আবেদনের বয়সসীমা অলরেডি পার হয়ে গিয়েছি । এতে করে দেশে হাজার মেধার পাচার হয়ে যাচ্ছে । তাই দেশের মেধাবীদের দেশে রাখতে হলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৫-১০ বৃদ্ধি করা জরুরী ।
★ সরকার উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বলছে । একটি ছেলে যখন অনার্স পাশ করার পর তাঁর বয়স দাঁড়ায় ২৬-২৭ বছর তখন সে চাকরির জন্য পড়ার টেবিলে বসে পড়ে কারন তার কাছে আছে মাত্র ২-৩ বছর । এরপর রাষ্ট্র তাঁকে মেয়াদহীন ঘোষণা করে দিবে । তাঁর সার্টিফিকেটের কোন দামই থাকবেনা । তাই সে এই সময় পড়ার টেবিলে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে । আজ যদি তাঁর কাছে অনেক সময় থাকত সে যে কোন একটি উদ্যোগ নিতে পারত এবং আর যদি সেই উদ্যোগে সে ব্যার্থ হয় তবে যে কোন সময়ে চাকরিতে আবেদন করতে পারত । কিন্তু যদি এই সুযোগ না থাকে তবে সে হতাশ হয়ে পড়বে এবং আত্মহত্যারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে । কারন বাংলাদেশ এইরকম অসংখ্য যুবক চাকরি না পেয়ে কিংবা চাকরির সময় না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে । তাই মেধাবীদের বাঁচাতে হলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি কিংবা শর্ত সাপেক্ষ্য উন্মুক্ত করা জরুরী ।
★ মেয়েদের ক্ষেত্রেতো আরো বড় সমস্যা । একটি মেয়ে অনার্স পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায় । তখন তাঁর সংসার গুছাতে এবং সন্তান হলে শিশু সন্তানকে লালন পালন করতে ৭-৮ বছর শেষ হয়ে যায় । তাঁর তখন চাকরিতে আবেদনের মেয়াদ নেই । এইভাবে রাষ্ট্র অনেক মেধাবী বোনদের ডেট এক্সপেয়ার করে দিচ্ছে যাহা রাষ্ট্র ধ্বংসের শামিল ।
এইরকম অসংখ্য উদাহরণ ও যৌক্তিকতা আছে । যাহা বলতে অনেক সময়ের প্রয়োজন ।
সকল যৌক্তিকতার সহিত এবং লক্ষ লক্ষ মেধা রক্ষার জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষ্যে বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি ।
তাই আমরা মনে করি বর্তমান সরকার এই যৌক্তিক দাবিটিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কোন প্রকার গড়িমসি না করে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে দাবিটি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিনীত আবেদন জানাচ্ছি ।
মুজাম্মেল মিয়াজী ,মুখপাত্র ,বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,সুরাইয়া ইয়াসমিন,প্রধান সমন্বয়ক.বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ