শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪
05 Oct 2024 04:26 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- জেলার পলাশবাড়ীত উপজেলায় প্রেমের জ্বালে ফেলিয়া দীর্ঘ দিন একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় ৩ অক্টোবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।এলাকাবাসী ও থানার অভিযোগে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাইতর বালা গ্রামের ফিরোজ মামুদ কন্যা ৯ম শ্রেনির ছাত্রী ফারজানা আক্তার(১৪)এর প্রতি কু-নজর দেয় একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের পুত্র বিপ্লব মিয়া (২৬)।
বিয়ার প্রলোভনে বিপ্লব দিনের পর দিন ফারজানার সঙে দৈহিক মেলামেশা করে।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পার্ক হোটেল রেস্তরায় নিয়ে গিয়ে ঘুরে বেড়ানোসহ নিজ বাড়ীতে সবার অজান্তেই মেলামেশা করে।ঘটনার দিন বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে বিপ্লব তার বাড়িতে ফারজানাকে ডাকলে ফারজানা প্রেমের টানে সবার অজান্তে বিপ্লবের বাড়িতে গিয়ে উঠে। গ্রামের অন্যান্য লোকজন দেখেলে বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।পরে বিবাদীর লোকজন বিয়ে না দিয়ে অপমান অপদস্ত ও মারধর করে কৌশলে বাড়ী থেকে বের করে দেয় মেয়েটবকে।বর্তমানে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিপ্লবের পরিবার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে ও বিপ্লবকে বাড়ী থেকে দুরে সরিয়ে রাখছে। অভিযোগের ভিত্তীতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে ছেলের পরিবাররা ৫ তারিখ শনিবার বিয়ার দিন ঠিক করে মেয়েকে উদ্ধার করে মেয়ের বাড়ীতে মেয়ে রেখে আসে।
ফারজানা জানান,আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের কথা বলে একাধিকবার মেলামেশা করেছে।বিপ্লবের সাথে আমার বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করবো।অনেকেই বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিয়ে নিয়ে এখন তালবাহনা করছে।
জাইতরবালা গ্রামের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,ঘটনাটি আমরা জেনেছি এটি সত্য। আমরাও চাই মেয়েটি যেন সঠিক বিচার পায়।
বিপ্লব মিয়ার বাবা শরিফুল ইসলাম জানান,আমরা সম্পর্কের কথা জানিনা ও মেয়েকে মারধর করার কথা অস্বীকার করেন।