মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৪
01 Oct 2024 05:33 pm
যোবায়ের হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা বিএনপির করা মামলা থেকে মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজার নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে শেরপুর উপজেলা মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটি। সোমবার শেরপুর ধুনট মোড়ে সংগঠনের কার্যালয়ে সভায় শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। যৌথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেখ, শেরপুর উপজেলা ও শহর রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান লিটন, উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হকসহ বয়লার শ্রমিক ইউনিয়ন, মিবিাস মালিক সমিতিসহ অন্যন্য নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর উপজেলা মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন ও আবু রায়হান আজাদের স্বারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর শেরপুরে বিএনপির সমাবেশে হামলা ও পার্টি অফিস ভাংচুরের ঘটনায় সম্প্রতি শেরপুর থানায় ১৪১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু। সেই মামলায় বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতি শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর উপজেলা মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ও আব্দুল মালেক এর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় সেলিম রেজার নাম চক্রান্তমূলক বলে দাবি করেছন নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, সেলিম রেজা ২০১৩ সালে জিয়া পরিষদ শেরপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছন। এছাড়াও তিনি বগুড়া জেলা পরিবহন মালিক সমিতি শেরপুর শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আওয়ামী সরকারের সময়ে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হলে একটি মহল আবারও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। মূলত তাদের ইন্ধনেই এই মামলায় সেলিম রেজার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। হামলার সাথে সেলিম রেজার কোন সম্পৃক্ততা নাই জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মামলার বিষয়ে সেলিম রেজা জানান, আমি ২০০৮সাল থেকে ২০১৩ সাল থেকে জিয়া পরিষদ শেরপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলা বিএনপি ২টি গ্রুপে বিভক্ত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু আমি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলহাজ¦ জানে আলম খোকা’র আদর্শে বিএনপি করি। এরপর আমি বগুড়া জেলা মোটর মালিক সমিতি শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বি পালন করছি দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর মালিক সমিতি থেকে আমাকে সড়াতে না পেরে ষড়যন্ত্রকরে বিএনপির আরেক টি গ্রুপ আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি হামলার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর উপজেলা শাখার আমির মাওলানা দবিবুরর হমান বলেন, আব্দুল মালেক একজন সাধারন মানুষ। সে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এ মামলায় তার নাম দেয়া হয়েছে তা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মামলার বাদি শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, “সেদিনের হামলার ঘটনায় সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন। এমনকি অর্থ দিয়ে হামলায় সহায়তা করেছে বলে তার নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি নিরাপরাধ হয়ে থাকলে মামলার তদন্তে তা প্রমাণিত হবে।