মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৪
06 Nov 2024 12:46 am
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম,হিলি (দিনাজপুর)প্রতিবেদক:-দিনাজপুরের হিলিতে পবিত্র কোরআন শরীফ রাস্তার উপর ছিড়ে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম কদুকে (৪৫) মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে হিলির চুড়িপট্টি এলাকায় এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম কদু চুড়িপট্টি এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ চটার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজুল ইসলাম কদুকে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম বলে ঘরে টাকা ছিল পাচ্ছি না। তুমি নিয়েছো কিনা। তখন সিরাজুল বলে আমি টাকা নেয়নি। এমন পর্যায়ে খাদিজা সিরাজুলকে মাথায় কোরআন শরীফ নিয়ে শপথ করতে বলে। এই অবস্থায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে সিরাজুল ঘর থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ বাড়ীর সামনের রাস্তায় এনে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলে।
এক পর্যায়ে ছিড়া কোরআন শরীফ পায়ের নীচে ফলে লাথি মেরে উল্লাস করে এবং আল্লাহ- রাসুলের নাম নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করলে পথচারী সহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে সিরাজুলকে ঘিরেধরে উত্তম - মধ্যম দেয়। এসময় সিরাজুল অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে খবর পেয়ে হাকিমপুর থানা পুলিশ এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সিরাজুলের প্রতিবেশি মোফাজ্জল হোসেন মোফা জানান, ছিড়ে ফেলা পবিত্র কোরআন শরীফের টুকরো টুকরো আয়াতগুলো উদ্ধার করে আমার বাসায় রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনা দেখে ঠিক থাকতে পারেনি। ধর্নীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার কারণে মানুষেরা তাকে মেরে ফেলার উপক্রম করেছিল। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এছাড়া উত্তেজিত মানুষেরা তার বাড়ী- ঘরে হামলার চেষ্টা করে। আমরা তার শাস্তি চাচ্ছি।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সুজন মিয়া জানান, ধর্নীয় অনুভুতিতে আঘাত করার ঘটনায় সিরাজুলকে আটক করা হয়েছে। সে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সিরাজুল মাদকাসক্ত ও এডনরমাল। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।