রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
06 Nov 2024 12:38 am
বগুড়া প্রতিনিধিঃ মোকামতলার আলোচিত মুন্না চৌধুরীর পল্টিবাজি রাজনীতি নিয়ে হইচই পড়েছে শিবগঞ্জ উপজেলায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুন্না চৌধুরী ছিলেন মোকামতলা বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি।২০১৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত দীর্ঘ তিন বছর দাপটের সাথে রাজনীতি করে গেলেও পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার শ্যালক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজুর সাথে সখ্যতা গড়ে পল্টি নেয় জাতীয় পার্টিতে।
গত কয়েক বছর ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজুর সাথে সখ্যতা গড়ে চালিয়েছেন এলাকার অসহায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর স্টিম রোলার। নানাভাবে হয়রানি-মিথ্যা মামলা প্রদানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন এই মুন্না চৌধুরী।
এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত একতরফা সংসদ নির্বাচনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর পক্ষে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।
এছাড়াও একতরফা উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জাপা এমপির শ্যালক ফিরোজ আহমেদ রিজুর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। যা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখনও বিদ্যমান আছে। স্থানীয় অনেক বিএনপি নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির এমপির শ্যালক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজুর সাথে সখ্যতা থাকায় স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অনেক বিএনপি নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছেন তিনি।
অনেককে মামলা দিয়েছেন এমনকি তার হাতে হামলাও শিকারও হয়েছে অনেকে।এদিকে, আজ রবিবার বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নাগরিক ঐক্যের নেতা দাবি করেছেন তিনি।
এ নিয়ে হইচই পড়েছে পুরো শিবগঞ্জ উপজেলায়।গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির মধু খেয়ে ৫ আগষ্টের পর হঠাৎ নাগরিক ঐক্যে যোগদান করার ঘোষণা দেয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় জনমনে।সচেতন মহলের অনেকে দাবি করেন, সুবিধাবাদী এই মুন্না চৌধুরী সবসময় চালাকি করে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়।কিন্তু বর্তমান যুগে তার চালাকি অচল ।গত ১৬ বছর বিএনপির অসহায় নেতাকর্মীদের উপর নিদারুন অত্যাচার করায় তার বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।
আলামিন বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :-