সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
19 Sep 2024 03:50 am
প্রেস রিলিজ:- সংস্কার রাষ্ট্রের একটা চলমান প্রক্রিয়া জনগণের ভোটে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার করবে। সংস্কারেরর মূল জায়গা সংসদ ভবন। ১৫ বছর যাবত জনগণ ভোটের জন্য মুখিয়ে আছে ।
অন্তর্বর্তী সরকারেরর মূল কাজ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য কিছু সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া। অনেক আহম্মক কে বলতে শোনা যায় যে এই মুহতে ভোট দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আমারা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী জনগণ যাকে ভোট দিবে সে ক্ষমতায় আসবে এতে কোন অসুবিধা নেই।
যে রাজনৈতিক দল গুলো অনির্বাচিত সরকারেরে কাছে সংস্কার চায় তারা রাজনৈতিক প্রতারক। এটা রাজনৈতিক দল গুলোর দেউলিয়া পনা। রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্যই সংস্কার করা যদি সেই সংস্কার অনিবাচিত সরকারের কাছে আশা করে তাহলে সেই রাজনিতিক দল না করাই ভালো। দেশে ভোটাধিকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন। প্রয়জন আছে তবে সেটা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতে হবে। আমি একজন গণতন্ত্রকামী মানুষ হিসেবে দীঘ মেয়াদে অনির্বাচিত সরকার মেনে নিতে পারিনা। আজ ১৪ সেপ্টম্বর রোজ রবিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে
হানিফ বাংলাদেশী বলেন আমি দীঘদিন যাবত দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দুশাসনের বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় পরপর ৪বার প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুনীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলায় গিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।দীঘ ৬ বছর আমি নিন্মে উল্লেখিত কর্মসুচি গুলো পালন করেছি।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রতিবাদে ১৯ মার্চ ২০১৯ সালে আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ১০০৪ কিলমিটার ৩৬ দিনে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা করেছি।
২০১৮ সানের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করার জন্য ৪ জুলাই ২০১৯সালে নির্বাচন কমিশনকে পচা আপেল দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আমি জনগণের ভোটাধিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে একটা আইন পাশের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ ভবনের চার পাশে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে ইস্পিকার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০১৯ সালের ১লা সেপ্টম্বর থেকে দেশে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬৪ জেলায় গিয়ে প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুর্নীতিবাজদের উদ্যেশে প্রতিকী লাল কাড প্রদশন করেছি।
২০২০ সালের ৫ সেপ্টম্বর সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে ঢাকা থেকে প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।
২০২১ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে “মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” গণতন্ত্রের জন্য ৬৭ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি।
২০২২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিলের দাবীতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই বার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিল হয়েছে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও ভোটাধিকারের দাবীতে ভোটের বাক্স মাথায় নিয়ে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে রাষ্ট্রপ্রতি বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই আইন পাশ হয়েছে।২০২৩ সালে র ১লা জানুয়ারি থেকে দুর্নীতি দুরশসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০২৪ সালে সীমান্ত হত্যা ও আগ্রসন বন্ধের দাবীতে সীমান্ত লাগোয়া ৩২ জেলায় প্রতীকী লাশের মিছিল করেছি।যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে জাতিসংঘ বাংলাদেশের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছি।পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।ভোটাধিকারের দাবীতে রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনের সামনে মোমবাতি জালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।এই ছাড়াও সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকারের জন্য সব সবসময় প্রতিবাদ করি।
উল্লেখিত কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে জেলায় জেলায় লাঞ্ছিত হয়েছি কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছি।এখন দেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এই সরকার নিয়ে নানা বিতর্ক আছে।সাধারণ জনগণ মনে করে বিতর্ক না বাড়িয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন কমিশনে কিছু সংস্কার করে অতি দ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি বিরাজমান অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন বেশি দিন থাকবেন সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে সমস্যা কমবে। সংস্কার রাষ্ট্রের একটা চলমান প্রক্রিয়া নির্বাচিত সরকারই প্রয়েজনীয় সংস্কার করার ক্ষমতা রাখে। রাষ্ট্রের সংস্কার হয় সংসদে, সংসদ সদস্যেদের বলা হয় আইন প্রণেতা। অনির্বাচিত সরকারের কাছে সংস্কার চাওয়া এটা রাজনৈতিক দল গুলোর দেউলিয়াপনা মনে করছি। এটা রাজনিতিবিদের চরম ব্যর্থতা।
হানিফ বাংলাদেশী
০১৭৮৫৫২৬২৯৮