বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
17 Sep 2024 11:33 pm
জাহিদুল,বরগুনা প্রতিনিধিঃ- মোঃ শোয়েব কবির বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক। এতদিন আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় স্থানীয় রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন শোয়েব। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। গত ৫ এবং ৬ আগস্ট বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর, আওয়ামী লীগের লোকজনের বাড়িতে হামলাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে শোয়েব কবিরের বিরুদ্ধে। এরপর নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে শোয়েবকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করলে তিনি গাঁ ঢাকা দেন। ছাত্রদলের আহ্বায়ক শোয়েব এখন বেতাগী উপজেলাবাসীর কাছে এক আতংকের নাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ শোয়েব কবিরের বাড়ি বেতাগী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তার পিতা মোঃ শাহজাহান কবির বেতাগী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোঃ শাহজাহান কবির একসময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি দীর্ঘদিন বেতাগী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের সাথে লিয়াজোঁ করে চলতেন। এই অভিযোগে তাঁকে উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে একাধিকবার বহিষ্কারও করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেতাগী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ৫ই আগস্টের পর থেকে ছাত্রদলের আহ্বায়ক শোয়েবের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করা হয়। সে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদাবাজিও করেছে। এতে আমাদের দলীয় ভাবমূর্তি অনেকটা নষ্ট হয়েছে। সবশেষ গত রোববার রাতে শোয়েবকে ধরতে তার বাসায় নৌবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালায়। এসময় শোয়েবকে না পেয়ে তার বাবা শাহজাহান কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। তাঁদের এসব কর্মকাণ্ড চলমান থাকলে বেতাগীতে বিএনপি অস্তিত্ব শঙ্কটে পড়বে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক অভিযুক্ত মোঃ শোয়েব কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মোঃ শোয়েব কবিরের বাবা ও বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজাহান কবির বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।