বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
10 Nov 2024 09:19 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধঃ- সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হিসাব রক্ষন কর্মকর্তাগণও কলম বিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
জানা গেছে, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন তিন অধিদপ্তরের অডিটররা দশম গ্রেড বাস্তবায়ন ও ১১ দফা দাবি আদায়ে সারা দেশে কর্মবিরতি ও গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় হিসাব ভবনের সামনে গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ কর্মসূচিতে সারা দেশের বিভিন্ন হিসাব অফিসে কর্মরত অডিটররা যোগ দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
অডিট অফিস সূত্র বলছে, অডিটরদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, সরকারি সব ধরনের বিল পরিশোধ, পেনশন উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা গ্রহীতারা।
আরও জানা গেছে, এর আগেও অডিটররা দশম গ্রেডের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। সে সময় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসও দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। চলতি বছর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা ফের আন্দোলনে নামেন এবং পরদিন থেকেই তাঁরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) ও এর অধীন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ), কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) ও রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক—এই চার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অডিটর হিসেবে কর্মরত আছেন ৬ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে মাত্র ৬১ জনকে হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে যাঁরা রিট মামলার পক্ষভুক্ত হয়েছিলেন, শুধু তাঁদের দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়। বাকিরা এখনো ১১তম গ্রেডে বেতন পান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অডিটররা কর্মবিরতি ঘোষণা করে আমাদের বিপাকে ফেলেছেন। অনতিবিলম্বে এই অচলাবস্থার অবসান চান তিনি।
পলাশবাড়ী উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ওমর ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সিএজি কার্যালয় ও এর অধীন দপ্তরগুলোর অডিটর পদের বেতন গ্রেড ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বাস্তবায়ন শাখায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখনো সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই এই রায় বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অডিটর নেতারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নিয়েছেন।