রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
18 Sep 2024 05:58 pm
যোবায়ের হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশন এর মালিকদের বিরুদ্ধে। টাকা উত্তলোনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পাওনাদাররা। ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে পাওনাদাররা পাওনা টাকা ফেরতের দাবীতে ফিলিং ষ্টেশন এর সামনে মানববন্ধন করে। মানব বন্ধনে পাওনাদাররা বলেন, ব্যবসার কথা বলে তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশনের মালিক উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রামের তাছের আলীর ছেলে যথাক্রমে সোবাহান আলী (৪৫) সৈয়ব আলী (৪০), মোঃ সুমন (১৮) বিভিন্ন ব্যাক্তিদের নিটক থেকে নগদ প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ্য করা যায় ফিলিং ষ্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। পাওনাদার ব্যক্তিরা টাকার নেয়ার জন্য যোগাযোগ করলে বিভিন্ন তালবাহান করতে থাকে। এক পর্যায়ে টাকা না দিতে তারা বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে হুমকি প্রদান করে। এমনকি টাকা না দিয়ে উল্টো পাওনাদারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশন এর মালিক পক্ষ।
পাওনাদারদের মধ্যে অন্যতম শেরপুর বারোদুয়ারীপাড়া গ্রামের মৃত শের আলী মন্ডল এর ছেলে মোজাম্মেল হক ৪০ (চল্লিশ লক্ষ টাকা, উপশহর এর দেরাজ উদ্দিন মন্ডল এর ছলে মোঃ সাইদুল ইসলাথ মিঠু ৫২ (বাহান্ন) লক্ষ টাকা, খন্দকারপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান মন্ডল এর ছেলে বুলবুল ও শফিকুল আহম্মেদ ৪১ লক্ষ টাকা, হামছায়াপুর গ্রামের আফছার আলী মন্ডল এর ছেলে রওশন আলী মন্ডল ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, টাউনকলোনী গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ ১২ লক্ষ টাক, শালফা গ্রামের আজিবর এর ছলে আব্দুর রহিম ১ কোটি ৫ল লক্ষ টাকা, ধুনট থানার বথুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত জালাল সরকারের ছেলে ভুলুর নিকট থেকে ৯ লক্ষ টাকা ব্যবসার খরচ বাদে মোট লভ্যাংশের তিন ভাগের এক ভাগ প্রদান করবেন এই শর্তে টাকা গুলো গ্রহন করে তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশন এর মালিক পক্ষ।
টাকা গুলো যথানিয়মে পরিশোধ করার কথা থাকলেও বিভিন্ন ভাবে গড়িমসি করে গ্রহনকৃত টাকা গুলো পরিশোধ করে নাই। বারং বার পাওনা টাকা পাওয়ার আসায় তাগাদা দিলেও তারা কোন কর্নপাত না করে উপরোন্ত গ্রহনকৃত টাকা গুলো না দেওয়ার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা খরচ করে। এক পর্যায়ে গত ২ ডিস্মেবর ২০২২ টাকা চাওয়ার নিয়ে ঝগড়া বাঁধায়। ঝগড়ার একপর্যায়ে তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশন এর মালিকগন টাকা ফেরত না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে সেই ধারাবাহিকতায় তারা টি, এম, এস, এস এর নিকট তিন ভাই ফিলিং ষ্টেশন টি বিক্রির চেষ্টা করে মালিক পক্ষ। এরপর পাওনাদার রা টি, এম, এস, এস, বগুড়ার নির্বাহী পরিচালক সাথে হক ট্রেডার্সের সত্বাধীকারী মোঃ মোজাম্মেল হক যোগাযোগ করলে বিক্রির চেষ্টা ব্যার্থ হয়।