শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
19 Sep 2024 05:04 am
আশিক সুজন ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়া:-যখন প্রতিকূলতা কেটে উঠে বগুড়া সহ সমগ্র বাংলাদেশে ছাত্র ও জনগণের হাত ধরে দেশের উন্নয়নমূলক কাজ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।ঠিক সে সময়ে কিছু অসাধু ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীরা তাদের পালিত চোরদের মাধ্যমে রাতের আধারে শহরের বড় বড় শোরুম গুলোর মালামাল লুড করাচ্ছে।
এমনই অভিযোগ তুলে গত ০১/০৯/২৪ ইং তারিখে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন এমকে ইলেকট্রনিক্স এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শহরের ইয়াকুব ইয়ার মোর সংলগ্ন এম কে ইলেক্ট্রনিক্স এর গোডাউন থেকে ৩১/০৮/২৪ইং রাতের গভীরে কে বা কাহারা ৮১ টি ইলেকট্রনিক্স পণ্য চুরি করে নিয়ে যায়।যার বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।পরের দিন ০১/০৮/২৪ ইং তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ গোডাউন থেকে মালামাল সংগ্রহ করতে গেলে তারা দেখেন গোডাউনের মালামাল কিছুই নেই। তখন তারা গোডাউনের চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে তারা দেখেন ড্রেনের পাশে থাকা তাদের বেলকনির গ্রিল কেটে কে বা কাহারা রাতের গভীরে তাদের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।তখন অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ০১/০৯/২৪ ইং তারিখে অজ্ঞাত নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃশহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুজন চোরকে গ্রেফতার করেন বগুড়া সদর থানা পুলিশ। তারা হলেন মোঃ মতিন ও মোঃসোহান। তারা দুজনে মাদকাসক্ত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চোর।তারা শহরের বিভিন্ন ভাঙ্গারী দোকানে চোরাই মাল সরবরাহ করে থাকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আসামি মতিন ও সোহান তাদের গডমাদার এবং চোরের সর্দারনী মোছাঃরাশেদা খাতুন রিবা'র নাম উঠে আসে।তিনি দীর্ঘদিন যাবত শহরের সেউজগারি এলাকার কারমাইকেল রোডের পাশে ভাঙ্গারির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং তিনি শহরের সেউজগাড়ী জামতলা সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে চোরাই মাল কেনার অভিযোগ থাকলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি বগুড়া থানা সদর পুলিশের।গ্রেফতারকৃত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ রাশেদা খাতুন রিবার বাড়ি থেকে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৬ টি ইলেকট্রনিক্স মালামাল উদ্ধার করে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
এই বিষয়ে মামলার বাদী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এম.কে ইলেকট্রনিক্সের গোডাউন থেকে ৮১ টি র ইলেকট্রিক পণ্য চুরি হয়ে যায়।যার বাজার মূল্য ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।তবে সদর থানা পুলিশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।মামলা হওয়ার ৪৮ ঘন্টার ভিতরে ৩৬ টি ইলেকট্রনিক্স পণ্য উদ্ধার করেছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।আমি গ্রেফতারকৃত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।সেই সাথে আশা করছি আসামিদের দেয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আমরা আমাদের বাদবাকি ইলেকট্রনিক পণ্য ফেরত পেতে পারি।