মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
19 Sep 2024 05:24 am
জাহিদুল ইসলাম,বরগুনা প্রতিনিধি:- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজী মামলায় রহস্যজনকভাবে এক ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর। ওই ব্যবসায়ীর নাম গোলাম কিবরিয়া পিন্টু। তিনি শহরের শহীদ মিনার সড়কের বাসিন্দা। সেখানে তিনি ইট, বালু ও সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া পিন্টু। এ সময় তিনি বলেন, তার মা অসুস্থ। বর্তমানে মৃত্যুশয্যায়। একই সঙ্গে তার স্ত্রীও অসুস্থ। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে দাবি জানিয়েছেন যাতে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে এ মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী পিন্টু আর বলেন, তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট বরগুনা ইউনিটের একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্থানীয় সকল দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে এসেছেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি তার স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে ১৮ টিরও বেশি মৃতদেহের গোসল করানো থেকে দাফন কাজ সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া সিডর আইলাসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছেন।
ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া পিন্টু আরও জানান ১৯৯৬ সালের দিকে তিনি যখন কিশোর তখন ছাত্রলীগের কমিটিতে তার নাম ছিল। এরপর ২০০১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেনকে সমর্থন করায় বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ থেকে তিনিসহ অনেক নেতা-কর্মী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েন। বিশেষ করে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও তৎকালীন এমপি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু এবং জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবীরসহ ক্ষমতাসীন দলের দাপুটে নেতাদের কাছে নিগৃহীত ছিলেন গোলাম কিবরিয়া পিন্টুসহ দেলোয়ার সমর্থিত সকল নেতাকর্মী। এরপর দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে গোলাম কিবরিয়া পিন্টু রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং রেডক্রিসেন্টের একজন সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
গোলাম কিবরিয়া পিন্টু বলেন, গত ১৫ই আগস্ট রবিউল ইসলাম মামুন নামের একজন বাদী হয়ে বরগুনা থানায় জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পাঁচ নম্বর আসামী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের পৃথক দুটি ঘটনায় ১৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন বাদী রবিউল ইসলাম মামুন।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জগলুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নির্দোষ কাউকে অভিযুক্ত করা হলে তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে। নিরপরাধ বা নির্দোষ কেউ যাতে হয়রানি শিকার না হয় সে বিষয়ে তিনি সচেতন থাকবেন বলেও জানান।