রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
15 Nov 2024 02:14 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তার জন্যই তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পরই তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিল, সেটি তারা জানিয়েছিলেন। এ কারণে তাদের নিরাপত্তার জন্যই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। তবে এর মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী সে তথ্য এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি। মন্ত্রী বলেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে।
ছাত্র কতজন এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। আরও যাচাই করে তথ্য জানানো হবে।’
এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তাদের পরিবারকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আজ রবিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় বলে তাদের সঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে, এটা জানার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা। প্রশ্ন আসতে পারে শুধু তাদের ক্ষেত্রে কেন নিরাপত্তার বিষয়। মনে রাখতে হবে এই লোকগুলোকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘিরেই কিন্তু একটি অসাধু চক্র জামায়াত-বিএনপি এই সুযোগে অনুপ্রবেশ করে একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে পতন ঘটাতে চেয়েছিল। এই চক্র রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আগুন লাগাতে চেয়েছিল। সেই কারণে আমি মনে করি, এই চক্র যদি আবার শিক্ষার্থীদের কোনো কিছু করে আন্দোলনের কিছু করতে চায়, সেজন্য নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়েছি।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে কত দিন রাখা হবে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলব।’
নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সমন্বয়কদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যেহেতু তারা নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কাছে তারপরেও তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে কথা-বার্তা হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সুন্দর একটা আন্দোলন ছিল, এই আন্দোলনের সময় তাদের সঙ্গে কারা কারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। কারা কারা তাদের উস্কানি দিয়েছিল। আমরা তাদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা কিছু নাম নম্বর আমাদের দিয়েছে।’
কালের কণ্ঠ