শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪
31 Oct 2024 01:28 am
নিজস্ব প্রতিবেদক:-বর্তমান কোটা আন্দোলনের নামে সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় এক প্রশ্নের জবাবে কবি আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে ও বিরামহীন অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বাধীন এই দেশ উন্নয়নশীল ও মানবিক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বিএনপি জামাত ঈর্ষান্বিত হয়ে ও ক্ষমতার লিপ্সায় পরে ক্ষমতায় আসার জন্য বিভিন্ন অযৌক্তিক আন্দোলন গ্রহণ করে নারকীয় তাণ্ডব চলিয়ে সরকারকে পতনে ব্যর্থ হয় ও জনগণের বিরক্তির কারণ হওয়ায় বিএনপি- জামাত নেতারা হতাশা গ্রস্হ হয়ে পরে।এই হতাশা কাটিয়ে উঠার লক্ষে সরকার উৎখাতের একটি আন্দোনের ইস্যু প্রয়োজন।
সেই লক্ষে ২০১৮ সনের কোটা বাতিলের পরিপত্রটি রহিত করে কোটা পূনর্বহালের জন্য এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করার পর বৈষম্য কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে কোমলমতি ছাত্রদের দিয়ে বিএনপি জামাত আন্দোলন করানোর জন্য ভেতরে ভেতরে কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নামে তাদের প্রজন্মদের ঢুকিয়ে দিয়ে অন্তরালে থেকে এই আন্দোলনের বীজ বপন করে।ফলে মহামান্য হাইকোর্ট চাকুরীতে কোটা পদ্ধতিতে বাতিলের আদেশ দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৪ সনে বাতিল করে দিয়ে কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে আদেশ দেন।এই আদেশের পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ছাত্রদেরকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ গ্রহণের পুর্বে রাজাকারের বংশধরদের দোসর ছাত্রদল ও শিবির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্ত ছড়িয়ে বৈষম্য কোটা বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে দেশের পতাকা কপালে বেঁধে ও হাতে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ভুল ব্যখ্যায়িত করে স্বঘোষিত রাজাকার শ্লোগানে মুখরিত করে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশ ধ্বংস যজ্ঞের মত বিপদগামী পথে ছাত্রদেরকে নামিয়ে দেয় এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে দেশের মধ্যে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করাসহ এক আনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দিলে বেশ কয়েকজ শিক্ষার্থী মর্মান্তিকভাবে নিহত হোন।ইহার পরই ১৭ জুলাই মানবিক ও মমতাময়ী প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জতির উদ্দেশ্য ভাষণ দেওয়ার সয়ম নিহত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞপন করে বলেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সফলতা স্বরুপ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক সন্তোষজনক রায় শিক্ষার্থীরা পাবেন মর্মে ছাত্রদেরকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং আন্দোলন পরিহার করার আহবানও জানান।
ইহার পর পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা জামাত বিএনপির বংশধর ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নিজেদের রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে ছাত্রদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ১৮ জুলাই শাটডাউন নামক কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনায় অগ্নি সংযোগ করে নারকীয় তাণ্ডব শুরু করার পাশাপাশি দেশপ্রেমিক পুলিশ ও জাতির বিবেক সাংবাদিকদের উপর আক্রমনাত্মক ভাবে হামলা করে আহত করলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং বেশ কয়েকজন কোমলমতি ছাত্র নিহত ও আহত হয়।
পরিস্হিতির পূণরাবৃত্ব না ঘটে ছাত্ররা কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তাব করলে সরকার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা বসার প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করে সরকারের পক্ষ থেকে মাননীয় আইন মন্ত্রী আনিসু হক সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে জানান ছাত্ররা যখনই আলোচনায় বসতে চাইবে তিনি ও শিক্ষা মন্ত্রী নওফেল আলোচনায় বসবেন এবং একই সাথে সরকারের পক্ষ থেকে জানান সাধারণ ও মেধাবীদের জন্য ৮০% কোটা রাখার প্রস্তাব করার পরও ১৮ ও ১৯ জুলাই সেতু ভবন,বিআরটিএ ভবন,ফায়ার সার্ভিস ভবন,মেট্রোরেল স্টেশন, পুলিশ বক্স,হানিফ ফ্লাইওভার টুলবক্স, এলিভেটেড, দুর্যোগ ভবন, এক্সপ্রেসওয়ের কাউন্টার,ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অফিসসহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনায় জামাত বিএনপি নারকীয় তাণ্ডব ব্যপকভাবে শুরু করে ও টাকা পয়সা লুট করার পাশাপাশি নরসিংদী জেলখানা থেকে অশ্র ও গোলাবারুদসহ কয়েদি আসামীদের বাহির করে নেয়। এরপরই বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় একজন সমন্বয়ক দাবি করে জানান কোটা আন্দোলনের নামে নারকীয় তাণ্ডব কান্ডের সাথে ছাত্ররা সম্পৃক্ত নয়। এই তান্ডব বিশেষ কোন রাজনৈতিক দল ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে সংঘটিত করে থাকলে তার দায় বার ছাত্র আন্দোলনকারীদের নয়।ইহার পর জামাত বিএনপি ছাত্র আন্দোলনের অন্তরালে ধ্বংস যজ্ঞ চালাচ্ছে বিষয়টি পরিষ্কার হলে দেশের মানুষের জান- মাল ও সম্পদ রক্ষায় সরকার যথা উপযুক্ত সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে মাঠে সেনাবাহিনী নামাতে কারফিউ জারি করে ১৯ তারিখ রাত্র ১২ থেকে রবিবার বিকেলে ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রাখার আদেশ জারি করে এবং একই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন জন প্রতিনিধি সরকারের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ তথা আইন মন্ত্রীর,শিক্ষা মন্ত্রী, তথ্য প্রতি মন্ত্রীর নিকট ৮ দফা দাবি পেশ করে। ইতিপূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে দায়ের করা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের লিভ টু আপিল দীর্ঘ শুনানি শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের দাবিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পূর্বের মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাতিলপুর্বক অন্যান্য দেশের ন্যায় কোটা প্রথা চালু রেখে মেধাবীদের জন্য সর্বাধিক পরিমাণ ৯৩%, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান সমুন্নত রাখতে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের জন্য ৫ %, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য ১%, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১% কোটা রেখে ২১ জুলাই আদেশ প্রদান করে করা সত্ত্বেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার না করায় দেশের সম্পদ ও জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা থাকায় সরকার কর্তৃক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি রাখা হয়।শুধু তাই নয় আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ মতে ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে সরকারের পক্ষ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কবি লাভলু বলেন মাহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিফলিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উচিৎ জামাত- বিএনপির নাশকতার আন্দোলনের ফাঁদে না পরে আন্দোলন পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের ইতিটানা এবং অভিভাবকদেরও উচিত হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগে অর্জিত লালসবুজের পতাকাকে কলঙ্কৃত করে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করার মধ্যে দিয়ে জামাত বিএনপির নষ্ট রাজনীতির ফাদে পরে ছেলে/ মেয়েরা যাহাতে ব্যবহৃত হয়ে দেশের সম্পদ ধ্বংসের লীলা খেলায় মেতে উঠে পথভ্রষ্ট না হয় সেই দিকে সজাগ রাখা।
অপরদিকে তিনি আরও বলেন দেশের সম্পদ ধ্বংস লিলায় মেতে উঠা সেই সকল দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করাসহ দেশের মানুষের জান মাল রক্ষায় লুট হওয়া অশ্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের অতিসত্বর প্রশাসনকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করা।অন্যথায় এই অশ্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।ফলে অনেক প্রান হানী ঘটনা ঘটার শঙ্কা থেকে যায়।