বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪
30 Oct 2024 05:25 pm
ইয়ামিন হোসেন:-মানুষ টিভিতে সৎ এবং নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধিদের মুভি দেখেছে।বাস্তবে মুভির রুপে জনপ্রতিনিধি খুব কমই দেখেছে। নির্বাচিত হলে জনগণ-ই তোষামোদ করতে হয় অনেক জনপ্রতিনিধিদের।কিন্তু ভোলা সদর উপজেলার মানুষ মুভির জনপ্রতিনিধির মতই একজন সৎ,নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধি পেয়ে গর্বিত এবং নিজেদের ধন্য মনে করছেন।
সদ্য হয়ে যাওয়া ৬ষ্ঠ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক তিন বারের ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস।
তিন তিন বারের মত ভাইস-চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ভোলার মানুষের জন্য তিনি যা করেছেন তার ফলাফল হিসেবেই মানুষ তাকে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।
নির্বাচনে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সদর উপজেলার প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতি দমনে তিনি সর্বোচ্চ ভুমিকা রাখবেন।সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই যেখানে অনিয়ম, সেখানেই তিনি উপস্থিত। কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজদের।
দীর্ঘদিন সদর উপজেলায় জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জেলে না হয়েও প্রকৃত জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল তুলে নিয়ে যাচ্ছেন ভুয়া জেলেরা। বিশেষ করে সমুদ্রের (সাগরের জেলে) চাল পাচ্ছেন ব্যবসায়ী, রাজনীতিক কর্মী, চাকুরীজীবি এমন অভিযোগে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলে কার্ড দেখে, কার্ডধারী ব্যক্তিকে শনাক্ত করে নিজে উপস্থিত থেকে চাল দিচ্ছেন জনতার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস।
১৭ জুলাই সকালে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সমুদ্রগামী জেলেদের চাল বিতরণে শতভাগ সচ্ছ ভাবে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস যখন কার্ড যাচাই-বাছাই করে চাল দিচ্ছেন এবং অনেক ভুয়া কার্ড জব্দ করেছেন। ঠিক সেই মুহুর্তে চাল নিতে আসা লাইনে দাঁড়ানো অসংখ্য ভুয়া জেলেরা পালিয়ে গেছে।
ধনিয়া ৩নং ওয়ার্ডের মনির মেম্বারের সিল ও স্বাক্ষরিত বেশ কিছু কার্ড ভুয়া পাওয়া গেছে। কার্ডধারী ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাইলে কেউ বলেন রাজমিস্ত্রী, কেউ বলেন দোকানদার, কেউ বা চাকুরীজীবি।
এদিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস এর এমন সততা এবং সচ্ছতায় আনন্দিত প্রকৃত জেলেরা।ধনিয়া নাছিরমাঝি এলাকার সামুদ্রিক জেলে লোকমান মাঝি বলেন, আমরা এখন আশাবাদী যে চাল বিতরণে আর কোন অনিয়ম হবে না।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস জেলেদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আপনাদের লোক, আপনারা আমার লোক। নির্বাচনের আগে আপনাদের কথা দিয়েছি কোন দুর্নীতি হতে আমি দিবো না। আপনাদের সহযোগিতায় শতভাগ সচ্ছতার সাথে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
এই যে চাল বরাদ্দ হয়েছে জেলেদের জন্য, আপনি সেই চাল দিবেন বা নিবেন যারা জীবনে নদীতে মাছ শিকারে যায়নি তাদের এটা আর হতে দেওয়া হবে না। আপনি যে-ই হোন, আমার আপন কেউ হলেও আপোষ নাই। প্রকৃত জেলেরা-ই পাবে চাল।
এ সময় ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক কবির, সচিব ফারুকসহ ইউপি মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।