মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪
19 Sep 2024 09:34 pm
স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের চক্রান্তে ১৯৭৫ সনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা পর ১৯৭৫ সন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজাকারের বংশধরেরা ক্ষমতায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার কোটা সুবিধা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারেরা অবহেলিত হয় এবং ২০০৯ সনে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের মাঝে আশার আলোর সঞ্চার হলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটাতে চাকরি প্রাপ্তির পথ সুগম হওয়ায় ২০১৮ সনে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মাথা চারা দিয়ে উঠে, কলেজ / বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে নানান প্রকার বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু করিয়ে ২০১৮ সনে কোটা বাতিলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক পরিপত্র জারি করাতে সরকারকে বাধ্য করে। ২০২৪ সালে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বলে অবৈধ ও অসাংবিধানিক পরিপত্র বাতিল হলে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের কোটা বহাল হওয়ায় রাজাকারের বংশধরদের গাত্রদাহ হয়ে উঠায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সরলমনা ছাত্রদের ভেতরে ছাত্র নামধারী তাদের প্রেতাত্মাদের ঢুকিয়ে দিয়ে সরলমনা ছাত্রদের সরলতাকে পুঁজি করে অত্যন্ত দুরন্তপনার পথ অবলম্বন করে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা কপালে লাগিয়ে ও হাতে নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সংরক্ষিত কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন দেশকে নিয়ে দেশাত্মবোধক গান ব্যঙ্গাত্মক ভাবে পরিবেশন করে এবং অশালীন ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কুঠারাঘাত করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার অপপ্রয়াস চালাতে থাকে।
ইহার প্রমাণ তাই বলে দেয় যে, মহামান্য হাইকোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক পুর্বের আদেশ স্থগিত করার পরও তথাকথিত কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত না করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবন বাজি রেখে রোদ, বৃষ্টি, ঝর উপেক্ষা করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা বিরামহীন পরিশ্রম করে আইন শৃঙ্খলার কাজে নিযুক্ত দেশপ্রেমিক পুলিশকে লক্ষ্য করে রাজাকারের বংশধরদের সংগঠন জামাত —বিএনপির নেতা কর্মীদের স্লোগান এর সহিত সুর মিলিয়ে একই শুরে ভুয়া ভুয়া ধ্বনিতে আক্রমনাত্মক হয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থান করে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন দেশকে নিয়ে অশ্লীল ও অশালীন আচরণে লিপ্ত হয়। ইহাতে নিঃসন্দেহে বলা যায় আন্দোলনকারীরা মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে রাজাকারের বংশধরদের মনো কোটায় লুকিয়ে থাকা পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম করতে দেশকে অস্থিতিশীল করায় ছিল তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য লক্ষ্যে।এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু,দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন দেশকে নিয়ে বিভিন্ন কুঠারাঘাত করে যেভাবে হেয় করা হয়েছে তা ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ও এক সাক্ষাৎকারে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক ও আদালত অবমাননার শামিল মনে করে এই আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের নামে জঘন্যতম কর্মকান্ডে লিপ্ত রাজাকারের বংশধরদের ও তাদের ইন্ধন দাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করত:দীর্ঘদিন সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়েপড়া বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের সংরক্ষিত কোটা বহাল রাখার মাধ্যমে মহাকাল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান রাখতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।