রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
14 Oct 2024 09:20 am
সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম:- কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্যর স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫ নং কচাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাদত হোসেন মন্ডল চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতায় আসার পর ২০২১-২২,,২০২২-২৩,,২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
ইউপি সদস্যরা অভিযোগে উল্লেখ করেন ৬ নং ওয়ার্ডের জালির চর ইউসুফের বাড়ি সংলগ্ন ইউড্রেন নির্মাণ,মধ্য সরকারটারি জামে মসজিদের অজুখানা নির্মাণ,ইন্দ্রগড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর পশ্চিম পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ,ইসলামপুর নূরানী মাদ্রাসার লেট্রিন নির্মাণ,২ নং ওয়ার্ডের সরেয়ার তল বেলালের বাড়ির দক্ষিনে কালভার্ট নির্মাণ,৬ নং ওয়ার্ডের জালির চরে বেরিবাধ নির্মাণ,৫ নং ওয়ার্ডের বটতলা বাজার থেকে শফিকুলের দোকান পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এর বরাদ্দ কৃত টাকা কাজ না করিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে আত্মসাৎ করেছেন।শুধু তাই নয় ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে সহায়তা তহবিল দ্বারা বাস্তবায়নকৃত জামানতকৃত অর্থ (রিটেশন মানি) প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারকে না জানিয়ে টাকা তুলিয়ে নিজের পকেটস্থ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেছেন ঈদে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের সময় ভুয়া মাস্টাররোল দেখিয়ে ভিজিএফ এর চাল প্রথম থেকেইআত্মসাৎ করে আসছেন।এ নিয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৯ ইউপি সদস্য ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দাবি করে আবেদন করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।উপায় নন্তন না পেয়ে দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন চেয়ারম্যানকে নিয়ে ইউপি সদস্যের সঙ্গে সমঝোতা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ওত পেতে থাকেন।ইউপি সদস্যরা মৎস্য কার্যালয়ে আবেদনের সাক্ষী দিতে আসলে তার আগেই চেয়ারম্যানের লোকজন সকল মেম্বারকে নিয়ে এক প্রভাবশালী নেতার কার্যালয়ে সমঝোতার জন্য বসেন।ঘন্টা ব্যাপী আলোচনার পর সমঝোতা হলে ইউপি সদস্যরা আপস মীমাংসার সমঝোতা কাগজের স্বাক্ষর দিয়ে ইউএনও অফিস ও মৎস্য অফিসে দাখিল করেন।
এখানে প্রশ্ন আসে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে আপস মীমাংসা করলেই চেয়ারম্যানের দুর্নীতি কি বেড়াজালে আটকে থাকবে।বর্তমান সরকার দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর হলেও চেয়ারম্যানের এতসব দুর্নীতি কার ইশারায় ঘুমিয়ে থাকবে এ প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের।এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন মন্ডলের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।( মোবাইল ০১৭১৮০৭০৩৮৮)চেয়ারম্যানের ছবি সহ নিউজটি প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন বলে আশা করছি।