শনিবার, ০৮ জুন, ২০২৪
24 Oct 2024 11:21 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি(এম) সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান আজ এক বিবৃতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে গরীব বান্ধব বাজেট নয় এবং এটা লুটেরাদের পক্ষের বাজেট এটাকে বলতে পারেন সরকারের লুটপাটের একটা পরিকল্পনা বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন,বিগত বছরের অর্থনৈতিক নৈরাজ্য লুটপাট বিশৃঙ্খলার কারণ কী ছিলো সে সম্পর্কে কোন দিক নির্দেশনা এই বাজেটে নেই তাই অর্থনীতি সংকটের সমাধান হবে না সামনে আর ও বিশৃঙ্খলা হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটের দায় জনগণের উপর চাপিয়ে কর ও ভ্যাট বৃদ্ধির বাজেট জনজীবনে দুর্ভোগ লাঘব হবে না।আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।জিডিপির অনুপাতে এটি গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ছোট বাজেট।বাজেট ছোট হলেও সরকারী ব্যয় কমবে না বরং জনগণের উপর কর ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে আয় বাড়ানোর নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গত অর্থবছরে জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে এসেছিল দ্রব্যমুল্য, মূল্যস্ফীতি, টাকার মানের অবনমন, ডলার সংকট ও ডলার পাচার, বিদেশী ও দেশি ঋণ এবং তাদের সুদাসল পরিশোধ খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, রিজার্ভ সংকট ও ব্যাংক খাতে লুটপাট। এসব নিয়ে এতো আলোচনার পরও এই সংকট নিরসনে পদক্ষেপ না নেয়ায় এবং বাজেটেও সমাধানে কোন দিকনির্দেশনা না থাকায় সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এই বাজেট আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে করা হয়েছে!
এই বাজেটে লুটপাট অনিয়ম বিশৃঙ্খলাকে আরও উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী তিন মাসেই ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত মার্চের শেষে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ।
সিপিবি(এম) নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা মনে করি খেলাপী ঋণের পরিমাণ বাস্তবে ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। দেশে এর আগে খেলাপি ঋণ বেড়ে কখনো এতটা হয়নি। একদিকে ঋণ খেলাপি বাড়ছে অন্যদিকে সরকার বাজেটে দেশের ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। দ্রব্যমুল্য বাড়বে এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে সাধারণ মানুষ।
একদিকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগান অন্যদিকে ক্রমাগত মুঠোফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার উপর ক্রমবর্ধমান ভ্যাট আরোপের নিন্দা করে তিনি বলেন, ১০০ টাকার টকটাইম পেতে এখন গ্রাহককে দিতে হবে ১৩৯ টাকা। বহুল প্রচারিত মেট্রোরেলেও ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে।যা জনজীবনে ভোগান্তি বাড়াবে।
শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানকে প্রধান গুরুত্ব দেয়ার দাবি থাকলেও এসব খাতে গতানুগতিক বরাদ্দের নিন্দা করে তারা বলেন, এর ফলে বিদেশ নির্ভরতা আরও বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের জীবন দুর্ভোগ বাড়বে।
এই বাজেটে অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করবে। দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, টাকা পাচার, ব্যাংক লুটের যে মিলিত চক্রে দেশের মানুষের দুর্দশা বাড়িয়েছে তা নিরসনে কোন উদ্যোগ না নিয়ে জনগণের উপর কর-ভ্যাটের বোঝা চাপানোর প্রতিবাদ করে সিপিবি(এম) নেতৃদ্বয় বলেন, বাজেট নিয়ে সরকারী মহলের বাগাড়ম্বর দিয়ে অর্থনীতির সংকট দূর হবে না।নেতৃদ্বয় বলেন, লুটেরাদের স্বার্থে বাজেট না করে গণমুখী বাজেট প্রণয়ন করুন।
বার্তা প্রেরক,কমরেড তারেক ইসলাম বিডি,প্রচার সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি