রবিবার, ০২ জুন, ২০২৪
19 Oct 2024 08:32 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ জেলা সদর উপজেলায় মৃত্যুর ৪৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক তরুণের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
মরদেহ উত্তােলন করা হয় সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিণ কুমরপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলেসাদিক হোসে( ১৮)। তিনি তুলসীঘাট ছামছুল হক ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল বিকালে বেড়ানোর কথা বলে মোটরসাইকেলসহ বাড়ি থেকে ডেকে নেয়।এরপর সড়ক দুর্ঘটনায় সাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আকাশের বাবা সাজু মিয়া। পরে খবর পেয়ে সাদিকের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করেন স্বজনেরা।
এদিকে, সাদিকের মরদেহ দাফনের পর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যে সাদিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাননি। সাদিকের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আকাশ ও তার বাবা সাজু মিয়া সাদিক হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছেন। সাদিককে হত্যার পর তারা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছেন।
এ ঘটনার পর গত ১০ মে সাঘাটা থানায় মামলা করেন সাদিকের ভাই মোশারফ হোসেন।
মোশারফ হোসেন জাসাস,মোটরসাইকেলের কোনও ক্ষতিই হয়নি। মূলত বিয়ের আগ থেকেই আমার স্ত্রীর সঙ্গে আকাশের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই আমার ভাই সাদিককে হত্যা করা হয়েছে।মামলায় আকাশ ও তার বাবা সাজু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চার জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাদিকের মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। অভিযুক্ত সাজু মিয়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে।
ঘটনার পর হত্যা মামলা না করার জন্য আকাশের বাবা সাজু মিয়া বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে আসেন।আদালতের নির্দেশে সাদিকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।’ সাদিকের হত্যার সঙ্গে জড়িত আকাশ ও তার বাবা সাজু মিয়াসহ আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল ইসলাম ।