মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪
19 May 2024 05:19 pm
পীরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি ঃ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা পাঁচগাছি ইউনিয়নের জ্যেতিডাঙ্গা বিল খননের নামে তোঘলকী কারবার চলছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ,বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত ওই বিল এর ১৬ একর ৩৪ শতক খাসজমি খনন প্রকল্পে মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ হলেও প্রকল্প এলাকায় কোন প্রকার সাইন বোর্ড দেয়া হয়নি। ১৬ একর ৩৪ শতক খাস জমির মধ্যে পাড় বাদ দিয়ে ১০ একর জলাশয় খননের উপযোগী।তাছাড়া পুর্ব থেকেই বিলের অধিকাংশ জায়গায় গভীরতা থাকায় তা খননের প্রয়োজন হয়নি।এমতাবস্তায় মাত্র ১০ একরের মতো অবশিষ্ট অংশ খননে বিপুল পারিমান এই বরাদ্দ প্রদান এক রহস্যজনক অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,পৃথক ২টি ভেকু দিয়ে মাত্র ২৮ দিনেই খননকাজ শেষ করা হয়েছে।এখানেই প্রশ্ন থেকে যায়, বিল খননের কার্যাদেশপ্রাপ্ত ইশ্বরদি পাবনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রেদওয়ান এন্টারপ্রাইজ মাত্র ২ টি ভেকু কি করে ২৮ দিনে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার মাটি খনন করে ? বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দের এই প্রকল্প কবে শুরু হয়েছে ? কবে শেষ হলো ? মোট কত ঘনফুট মাটি কাটা হয়েছে ? এসব তথ্যকে গোপন করে প্রকল্পের কাজে সমাপ্তি টানা হয়েছে।বিষয়টি সম্পর্কে কোন তথ্য জানাতে কৌশলে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কিছু জিজ্ঞেস করলেই “আমরা জানিনা” বলেই তারা পাশ কেটে চলে যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ,স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর উদ্দেশ্যেই এখানে কোন সাইনবোর্ড দেয়া হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির দেয়া তথ্যের সাথে তদারকী কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তথ্যের কোন মিল নেই। এস ও মিজানুর রহমান বলেন-পার্শ্ববর্তী ব্রীজের তলদেশ হতে প্রস্থে ৩’শ ফুট ও দৈর্ঘে ২৯’শ ফুট ও গভীরতায় ১৩ ফুট খনন করা হয়েছে।এছাড়া ১০ উচ্চতায়ং ১০ ফুট পাড় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এই হলো বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজের ফিরিস্তি।এদিকে বিল খনন করে পাড় বেঁধে দেয়ায় এলাকায় নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি জ্যোতিডাঙ্গা গ্রামের তাজুলসহ কয়েকজন বলেছেন,বর্ষা মওসুমে আশপাশের কয়েক গ্রামের বৃষ্টির পানি নেমে আসে এই বিলে।
পাড় বেঁধে দেয়ায় ওই নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যাবে।ফলে আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাড়িঘর ও আবাদী জমি তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই জ্যোতিডাঙ্গা বিল নিলাম ডাক নিয়ে স্থানীয় বিবদমান দুটি গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।বিবদমান দু’দলের মধ্যে যারাই ডাক পেয়ে যাবে তারাই মাছ চাষ করে বিলে আশপাশের পানি প্রবেশে বাঁধা দেবে।ফলে এলাকায় এক সংঘর্ষ সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে।
মোঃ আকতারুজ্জামান রানা,পীরগঞ্জ,রংপুর