শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
06 Nov 2024 06:45 am
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।খোকন হাওলাদার, আশুলিয়া প্রতিনিধি (ঢাকা) ॥
চলতি মৌসুমে ঢাকার ধামরাই উপজেলায় উন্নত জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। বেড়ে উঠা গাছ আর ফুল দেখে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর আরও ১৫০০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হচ্ছে সরিষা। আর কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-১৬, বারি-১৭ বিনা- ৪/৯ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।ধামরাই উপজেলায় সরজমিনে বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপক পরিমানে জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।বেশকিছু সরিষা চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে।
এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৭ থেকে ৮ মন। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার ধান আবাদ করা যায়, এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার সে ৯ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।এবছর সরিষা চাষের শুরুতে অল্প বৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে রস ছিলো তাতে সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং সরিষার গুণাগুণ ভালো হবে। আশা করছি এবছর বাম্পার ফলন হবে।উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন,কৃষি অফিসের পরামর্শে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি।
সরিষার জমিতে ধানের আবাদ ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। আশা করছি গত বছরের তুলনায় এবারও ভালো ফলন হবে।উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কৃষক বেনজির আহাম্মেদ বলেন, ১০০ শতাংশ জমিতে বি-১৭ জাতের সরিষা আবাদ করেছি।গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি। এবারও ফলন ভাল হচ্ছে। দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকবে।এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন,কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এবার ৭৪০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১৫০০ হেক্টর বেশি। বারি-১৪ সহ অন্যান্য সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বারি-১৪ সরিষার গাছ লম্বা হওয়ায় এর পাতা মাটিতে ঝরে পড়ে জৈব সারের কাজ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে। এ জাতের সরিষা আবাদের পর ওই জমিতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ কম লাগে। তাই এ জাতের সরিষা চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এবারের ফলন ভাল হলে কৃষকদের আগ্রহ আরও বাড়বে।