শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
16 Nov 2024 01:58 pm
আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উপলেক্ষে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা বিএনপির উাদ্যোগে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিতে দশটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এরপর সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরআগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব আলোচনাসভা অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম মিন্টু, আসিফ সিরাজ রব্বানী সানভি, শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল মোমিন, শফিকুল আলম তোতা, মাহবুবুল আলম হিরু, পিয়ার হোসেন পিয়ার, আব্দুল হাই সিদ্দিকী হেলাল, মামুনুর রশিদ আপেল, মোস্তাফিজুর রহমান নিলু, শেখ ফরিদ, হুমায়ুন কবির বিপ্লব, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, শাহাবুল করিম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শাহ মো. কাওছার আলী কলিন্স, হাফিজুল ইসলাম শাওন, কৃষকদল নেতা আবু সাঈদ, নুরুল ইসলাম নুর, মহিলাদল নেত্রী নাসরিণ আক্তার পুটি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে বিএনপির দুই গ্রুপ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে প্রায় একই সময়ে পৃথক র্যালি বের করেন। কর্মসূচিতে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তিসহ বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শহরজুড়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিলেও তাদের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গেঞ্জি ও টুপি-ক্যাপ বিতরণ নিয়ে সীমাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এতে ফারুক হোসেন নামে এক বিএনপি নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মাথা ফেটে গেছে। বর্তমানে ওই বিএনপি নেতা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানান, র্যালিপূর্ব নেতাকর্মীদের মধ্যে গেঞ্জি ও টুপি-ক্যাপ বিতরণ নিয়ে সীমাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লতিফ খান ও বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের অন্যতম নেতা ফারুক হোসেনের সঙ্গে সাবেক সভাপতি মুনসুর রহমানের ছেলে জুয়েল রহমানের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এতে ফারুক হোসেনের মাথা ফেটে আহত হন। পরে উপজেলা বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও উভয় গ্রুপের সিংহভাগ নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করেই বাড়ি চলে যান। দেশের এই দুঃসময়ে দলীয় গ্রুপিং, কর্মসূচি পালন ও মারামারি নিয়ে ক্ষোভ করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সোলায়মান আলী, গোলাম রব্বানী, ইমরান হোসেনসহ একাধিক বিএনপির কর্মী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে হাতে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেইদলে কোনো আমরা কখনোই চাই না। দীর্ঘ পনের বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। বেগম জিয়া কারারুদ্ধ। তারেক রহমান দেশের বাইরে। বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ক্ষমতাসীন ভোটচোর সরকার। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে দলের মধ্যে বিভেদ তৈরী করা নেতাদের হুশ আর কবে হবে?।