রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
19 May 2024 09:49 pm
সরিষাবাড়ী প্রতিনিধিঃ- জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের ৯৩ নং করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তানজিনা আক্তার নাছিমার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা । বিভিন্ন মাধ্যম ও তথ্যসূত্রে জানা যায় উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা এবং উৎপাত সমূহ ।
এ বিষয়ে কথা বলেন স্কুলের পাশের বাড়ির রোশনারা , মৌসুমের সময় আমি এবং নাজমা স্কুলের মাঠে চটের উপর ধান শুকাতে দিয়েছিলাম ।
এক পর্যায়ে নাছিমা ম্যাডাম এসে বলে ধান তুলতে বলেছেন , কথা শুনে আমি ধান তুলতে তুলতেই ওইদিকে নাসিমা ম্যাডামের নির্দেশে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা চট ধরে ধান সহকারে মাঠ থেকে নিচে কিনারায় ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল তবে পরবর্তীতে নাছিমা ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করছি তারপর আর ধান ফেলতে পারেননি ছাত্রছাত্রীরা ।
উপরোক্ত বিষয়ে নাজমা বলেন , ঐদিন আমি এবং রোশনারা একসাথে ধান নেড়ে দিয়েছিলাম স্কুল মাঠে , একটা সময় নাছিমা ম্যাডাম এসে ধান তুলে নিয়ে যেতে বলে এই কথা শোনার পর রোশনারা তড়িঘড়ি করে ধান তুলতে থাকে , আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ধান তুলতে কিছুটা বিলম্ব হওয়াতে নাসিমা ম্যাডাম তার স্কুলের ছেলেমেয়ে দিয়ে আমার ধান সহকারে ধানের চটি ফেলে দিতে চেয়েছিল ।
এ বিষয়ে একই এলাকার মকবুল হোসেন বলেন স্কুল মাঠে ধান নাডা নিয়ে ম্যাডামের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এ বিষয়টা জানার পর আমি হারুন , গফুর বাদশা সহ ম্যাডামের সাথে কথা বলতে গেলে উনি আমাদেরকে মূল্যায়ন করেননি ।
স্কুল শিক্ষিকাদের লেখাপড়া এবং কথাবার্তার কারণেই দিন দিন ছাত্র ছাত্রীর হার কমে যাচ্ছে এবং লেখাপড়ার মান কম হচ্ছে ।উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে গফুর বাদশা এবং হারুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ।
স্কুলের পাশের বাড়ি আজিজুল হকের স্ত্রী কনি বলেন , স্কুলের পড়ার মান একদম ভালো না ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করায় এবং অন্যান্য ছাত্রদের স্কুল মাঠে উপস্থিত থাকলে কাজ না করে দিলে তাদেরকে বিভিন্ন অপবাদ দেয় নাছিমা ম্যাডাম ।
এছাড়া বিভিন্ন সময় স্কুল ছুটির পর স্কুলের বাতি ফ্যান ট্যাংকির মোটর চালিয়ে চলে যান স্কুলের ম্যাডামরা এবং মাঝে মাঝেই এক ম্যাডামের সাথে আরেক ম্যাডামের ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি শুনতে পাই আমরা ।
উপরের কথার সাথে তাল মিলিয়ে একই কথা বলেছেন স্থানীয় সুফিয়া , বুলবুলি সহ অনেকেই। উপরের বিষয়গুলো নিয়ে ৯৩ নং করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তানজিলা আক্তার নাছিমার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি ।
এক পর্যায়ে ওই স্কুলের মর্জিনা ম্যাডাম বলেন , আমার স্বামী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়াতে নাছিমা ম্যাডাম আমার স্বামীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উপহাস করত এবং ছুটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হতো ।
এ বিষয়ে ৯৩ নং করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব হামিদ মিয়া বলেন , স্কুল চলাকালীন সময়ে যদি কেহ স্কুলের মাঠে ধান নেড়ে দেয় তবে এটা অন্যায় , আরেক পর্যায়ে তিনি বলেন যদি নাছিমা ম্যাডামের নির্দেশে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ধান ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় তবে এটা ঠিক হয়নি ।
উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাহিদা পারভীন বলেন সঠিক তথ্য এবং অভিযোগ পেলে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।