বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩
12 May 2024 06:40 am
এস এম দৌলত, বগুড়া প্রতিনিধিঃ শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির ভেন্যু প্রত্যাহার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দু'দফায় আমরণ অনশন করে আলোচনায় আসেন বগুড়ার যুবক হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেল। বিভিন্ন ব্যক্তির আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন রুমেল।
তবে আর কোনো অনিয়ম বা কোনো কিছুর দাবিতে অনশনে বসবেন না রুমেল। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের নাটাই পূর্বপাড়া নিজ বাসায় মারা গেছেন রুমেল।
রুমেল ওই এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করতেন। বগুড়ায় বিসিবির ভেন্যু হিসেবে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ফিরিয়ে আনতে দু'দফায় আমরণ অনশন করে আলোচনায় আসেন তিনি।
রুমেলের মা বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে রাতেই কথা বলেছি। অতিরিক্ত গরমের কারণে রুমেল অসুস্থ ছিল। কিন্তু ভোরেই আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পাশে থাকার মত আর কেউ রইলো না।’
রুমেলের প্রতিবেশী রকি হোসেন বলেন, ‘রুমেল মাঝে মাঝেই না খেয়ে থাকতেন। হঠাৎ করে ভোরে রুমেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাসায় যাই। গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। হাত-পা ছেড়ে দেওয়া। পরে চিকিৎসার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে যাই। এসে দেখি রুমেল মারা গেছে।’
রুমেলের বন্ধু রাসেল ইসলাম বলেন, ‘রুমেলের সাথে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কথা বলি। সে মানসিকভাবে অনেক চিন্তিত ছিল। বগুড়া স্টেডিয়াম ফিরিয়ে আনতে সে অনশন করেছিল। কিন্তু তাকে সেভাবে কেউ মূল্যায়ন করেনি। তবুও সে বগুড়াবাসীর জন্য ঈদের পর আবারও বিমানবন্দরের জন্য অনশনে বসতে চেয়েছিল। কিন্তু তার আগেই কীভাবে যে কি হয়ে গেল।’
শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় মায়ের সাথে থাকতেন রুমেল। তার বাকি তিন ভাই চাকরির কারণে বগুড়ার বাইরে থাকতেন। রুমেল তার চ্যানেল বগুড়া নামে ফেসবুক আইডিতে গতকাল রাত ১১টা ৪২ মিনিটে লেখেন, ‘জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তার একই আইডিতে লেখেন, বগুড়ার বিমানবন্দর চালু করার দাবিতে সিসি ক্যামেরার সামনে আমরণ অনশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঈদ পার হলেই শুরু হবে আন্দোলন।তার সে আশা অধরাই রহে গেলো।