বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩
10 May 2024 03:36 am
শাহ্ আলী বাচ্চু ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ- জামালপুর সদর উপজেলায় এক গর্ভবতী গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেওলিয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি উষা, নানী শাশুড়ি আকলিমা ও দেবর শরীফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো তাদের মধ্যে। এর মধ্যেই নিহত গৃহবধূ গর্ভবতী হন। মঙ্গলবার স্বামী উজ্জল বাড়িতে আসলে গ্রহবধূকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ সময় গর্ভপাত না করতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূকে মারধর করেন স্বামী উজ্জল। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করে বলেন, গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় উজ্জল ও তার পরিবার। মঙ্গলবার রাতে ইদের ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসে উজ্জল। বাড়িতে এসেই গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে উজ্জল ও তার পরিবার। এতে রাজি না হলে রাতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে তার।
নিহতের নানা আব্দুল জলিল বলেন, গর্ভপাত ঘটাতে রাজি না হওয়ায় উজ্জল ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার নাতিকে পিটিয়ে হত্যা করে। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, রাত ১২টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূর অচেতন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।