রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
06 Nov 2024 12:53 am
বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লেখা নায়কদের দেখতে ৬৫ হাজার দর্শক গ্যালারিতে ছিলেন। তাদের সামনে উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করে মরক্কো। যদিও ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা রেফারির কাছে স্বাগতিক ডিফেন্ডারদের বিরুদ্ধে অযথা ট্যাকলের অভিযোগ করেন।
ব্রাজিল বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণ চালাতে থাকে। অন্যদিকে মরক্কো প্রতি আক্রমণে ছিল বিপদজনক। পালমেইরা উইঙ্গার রনি ১৩তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে। ২৩ মিনিটে মরক্কান গোলকিপার ইয়াসিন বোনো ব্রাজিলকে গোল উপহার দিতে বসেছিলেন। বল পায়ে রাখতে গিয়ে দখল হারান। খালি জালে নেওয়া রনির শট মরক্কান ডিফেন্ডার ব্লক করেন। ভিনিসিউস জুনিয়রের ফিরতি শট সেভ করে দলকে বাঁচান বোনো।
পরের মিনিটে ভিনিসিউস গোল করলেও বিল্ড আপের সময় অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন তিউনিসিয়ান রেফারি সাদক সেলমি।
অবশ্য মরক্কোই এগিয়ে যায়। ২৯ মিনিটে সোফিয়ান্নে বৌফলে করেন গোল। বিলাল এল খানোসের অ্যাসিস্টে বক্সের সেন্টার থেকে ডানপায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মরক্কোর গোলদাতা পরে আরও দুইবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন সতীর্থকে দিয়ে। কিন্তু হাকিম জিয়েশ ও আজেদিন আউনাহির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পরে সিনেম্যাটিক সেভে রদ্রিগোকে থামান বোনো। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে কাসেমিরো গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান। ৬৭তম মিনিটে তার দুর্বল শট বোনো ডাইভ দিয়ে ঠেকালেও ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু ফের মরক্কো এগিয়ে যায়। ৭৯ মিনিটে আব্দুলহামেদ সাবিরি করেন গোল। বক্সের মধ্যে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার বল আটকাতে পারেননি, বদলি নামা সাবিরির জোরালো শট ক্রসবারে লেগে জালে জড়ায়।
এই গোলেই মরক্কোর উদযাপনের উপলক্ষ আরও রাঙিয়ে দেয়। প্রথম আরব আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ না কাটতেই ব্রাজিলকে হারিয়ে তাদের গর্বিত অধ্যায়ের পাতায় আরেকটি সাফল্য যোগ হলো।