মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
27 Dec 2024 12:17 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ ইদিলপুর গাইবান্ধার সদুল্লাপুর উপজেলার ছোট এক ইউনিয়ন। এখানকার মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফুল। সেসব ফুলে উড়ে উড়ে ঢলে ঢলে ঘুরছে মৌমাছির দল। ফুলের ঘ্রাণ আর সেই সৌন্দর্য সবাইকে মাতোয়ারা করে তোলে।
শুধু ইদিলপুর নয়, গাইবান্ধার খোর্দ্দকোমরপুর এলাকায়ও বেশ কিছু গ্রামের মাঠও ফুলের ঘ্রাণে মো মো করে। আসছে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবস। এ উপলক্ষে চাষিদের ক্ষেতে শোভাবর্ধন করছে হরেক রকম ফুল। আর এই ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়। অধিক লাভের আশায় এসব ফুল চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।ফেব্রুয়ারি মাসে রোজ ডে থেকে উদযাপন শুরু হয় ভালোবাসার বিভিন্ন দিবস। আর এসব দিবসে বেড়ে যায় হরেক ফুলের চাহিদা। ফুলপ্রেমিদের এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছেন গাইবান্ধার ফুলচাষিরাও। এ বছর অধিক লাভের সম্ভাবনায় তাদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হচ্ছে নানা ধরনের ফুল। বিশেষ করে ইদিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠ এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে গাদা-গোলাপসহ অন্যান্য ফুলচাষ করা হচ্ছে। সারা বছরের ফসল হিসেবে বেশ লাভজনক হওয়ায় ফুলচাষেই অধিক মাত্রায় ঝুঁকে পড়ছেন এখানকার কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজনগর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান তার একবিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সাদা, হলুদ, লাল, কালো গোলাপ চাষ করেছে। তিন বছর ধরে ফুলচাষে অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। ফলে এ বছরও তিনি নতুন করে আরও বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলচাষ করছেন।
রাঘবেন্দপুর গ্রামের গোলজার মিয়া ফুল উৎপাদন করে আসছেন কয়েক বছর বছর ধরে। নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল উৎপাদন করছেন তিনি। তার উৎপাদিত ফুলের মধ্যে রয়েছে, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, গোলাপ, সূর্যমুখী, গাদা, জারবারা (ইন্ডিয়া)। এ থেকে অনেকটাই লাভবান তিনি। তার এই সাফল্যে ওই গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও এ বছর ফুল চাষ করেছে।মজিদ মিয়া নামের এক ফুলচাষি জানান, সাধারণত একটি গোলাপ ৪ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ৮ থেকে ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। তবে বিশেষ মৌসুমে যেমন—প্রপোজ ডে, ভালবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিভিন্ন দিবসে একটি গোলাপ বাগান থেকেই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। যা দোকানে বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে।
তিনি বলেন, ফুলচাষে খরচ বাদে প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছি।সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইদিলপুর এলাকার মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। একারণে বেশি ফলন পাওয়ায় ফুলচাষ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারছেন কৃষক। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে কৃষকরা ক্ষেতের ফুলগুলো ম্যাকিং করা শুরু করেছে। তাদের লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা করা হচ্ছে।